ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে এখন গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ১০ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রায় ৩৫ লাখ মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ৪ হাজার ৮শ’ ১৪টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। ফখরুল বলেন, দেশে যে মানবাধিকার পরিস্থিতি চলছে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আর কখনই ছিল না। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হাতে ১ হাজার ৫২৬ জন মারা গেছে। নির্যাতিত হয়েছে বিএনপির ৪২৩ জনসহ ৮৮১ জন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বজনরা অশ্রুসজল কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডেও যে রিপোর্ট দিয়েছে তা সরিয়ে ভিন্ন রিপোর্ট আদালতে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডেও যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট এখন পর্যন্ত আসেনি। আমরা পরিষ্কারভাবে লক্ষ্য করছি, অত্যন্ত সচেতনভাবে খালেদা জিয়াকে বেআইনীভাবে কারাগারে আটক করে রাখার জন্য সরকার কাজ করছে। এভাবে সরকার বড় রকমের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ফখরুল বলেন, ৩০ নবেম্বর উপাচার্যের গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টটিতে খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘ক্রিপল স্টেইজ’ উল্লেখ করে তাঁর উন্নত চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্ট চেয়েছিল এই রিপোর্টটি উপস্থাপন করা হোক। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা উপস্থাপন করা হয়নি আদালতে। ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বিনা কারণেই বেআইনীভাবে আটক করে রাখা হয়েছে ২০ মাস ধরে। তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এই ধরনের মামলার জন্য যে সাজাটা হয়েছে সেই একই ধরনের মামলায় অন্য আসামিরা জামিন পেয়ে গেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার জামিন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।
×