ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে শেষ রাউন্ডে ভাগ্য নির্ধারণ হবে আয়াক্স, ভ্যালেন্সিয়া ও চেলসির

অপেক্ষা বাড়ল লিভারপুল ও নেপোলির

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

 অপেক্ষা বাড়ল লিভারপুল ও নেপোলির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মুখোমুখি লড়াইয়ে লিভারপুল ও নেপোলি ১-১ গোলে ড্র করায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে দু’দলেরই নকআউট রাউন্ডে খেলার অপেক্ষা বেড়েছে। বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে যে দল জিতত তাদেরই নিশ্চিত হয়ে যেত শেষ ষোলো। কিন্তু ড্র হওয়ায় এখন গ্রুপের শেষ ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দল দু’টিকে। গ্রুপের আরেক ম্যাচে বেলজিয়ামের জেঙ্ককে ৪-১ গোলে হারিয়ে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুলস সলসবার্গ। ১০ ডিসেম্বর লিভারপুলের বিরুদ্ধে অগ্নিপরীক্ষা তাদের। ড্রিয়েস মার্টিনসের ২১ মিনিটের গোলে ২০১৭ সালের এপ্রিলের পর চ্যাম্পিয়ন্স কিংবা প্রিমিয়ার লীগে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো হারের শঙ্কায় পড়েছিল লিভারপুল। তবে ৬৫ মিনিটে ডিয়ান লোভরেনের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১৯ মিনিটে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্যাবিনহো। ম্যাচ শেষে তার ইনজুরির বিষয়টি ম্যাচের সবচেয়ে দুঃশ্চিন্তার বলে অভিহিত করেছেন দ্য রেডস কোচ জার্গেন ক্লপ। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী এই কোচ বলেন, আমাদের পথ সবসময়ই কঠিন হয়। এখন সলসবার্গের বিপক্ষে ম্যাচের অপেক্ষায় থাকতে হবে। এই ম্যাচে যদি নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে পারতাম তবে সেখানে স্বস্তিতে খেলা যেত। পাঁচ ম্যাচ শেষে বর্তমানে নেপোলি যদিও লিভারপুরের থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে। তবে একদিক থেকে তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে। দুই সপ্তাহ পরে তারা গ্রুপে এখনও জয়বিহীন থাকা জেঙ্ককে আতিথেয়তা দিবে। নেপোলি কোচ কার্লো আনচেলোত্তি বলেন, এখানে ড্র করাটা সহজ নয়। প্রথম থেকেই আমরা চাপে ছিলাম এবং কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলছিলাম। তবে এ্যান ফিল্ডে নিজেদের ধরে রাখাটা সবসময়ই কঠিন। এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে নেপোলি এবারের মৌসুমে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের পরাজিত করেছে। যে কারণে খুশি আনচেলোত্তি বলেন, এটি এমন একটি ক্লাব যেখানে কঠিন সময়ে সকলেই ক্লাবের উত্তরণের আশা করে। আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। সে সকলের প্রতি দারুণ খুশি। ‘এইচ’ গ্রুপে ড্যানিয়েল ওয়াসাসের গোলে চেলসির বিরুদ্ধে গ্রুপপর্বের ম্যাচে দারুণ লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভ্যালেন্সিয়া। এই ড্রয়ে দু’দলেরই নকআউট পর্বে যাওয়ার অপেক্ষা বেড়েছে। এই গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে পয়েন্ট হারিয়েছিল চেলসি। ফিরতি লেগেও সেই শঙ্কাই দেখা দিয়েছিল। কার্লোস সোলারের গোলে ৪০ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ভ্যালেন্সিয়া। যদিও পরের মিনিটেই সমতা ফেরান মাটেও কোভাচিচ। বিরতির পর ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের গোলে এগিয়ে যায় ব্লুজরা। ৬৪ মিনিটে ডানি পারেহোর পেনাল্টি চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা রুখে না দিলে ম্যাচের ফলাফল হয়তো ভিন্ন হতে পারত। ৮২ মিনিটে আর কোন ভুল করেননি ওয়াস। ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড বলেন, আমরা ম্যাচটি পায় জিতেই গিয়েছিলাম। আবার হারারও সম্ভাবনা ছিল। সবমিলিয়ে এক পয়েন্ট পাওয়ায় আমি খুশি। ভ্যালেন্সিয়ার কোচ আলবার্ট সেলাডেস বলেন, এটা এমন একটি ম্যাচ ছিল যেখানে আমাদের দুই দলেরই সুযোগ ছিল। তবে পেনাল্টিসহ সুযোগগুলো আমরাই বেশি নষ্ট করেছি। ম্যাচের ৪০ মিনিটে কার্লোস সোলার যখন ডেডলক ভাঙ্গেন সেই গোলেও ভ্যালেন্সিয়ার সৌভাগ্যই বেশি কাজ করেছে। সোলারের পা থেকে বল প্রায় চলেই গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কেপাকে পরাস্ত করতে যথেষ্ট ছিল। আরেক ম্যাচে ফরাসী ক্লাব লিলেকে তাদেরই মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে গত মৌসুমে সেমিফাইনালে খেলা ডাচ ক্লাব আয়াক্স। এই ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে দলটি। ১০ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে হার এড়ালেই নকআউট রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে আয়াক্সের। অবশ্য ম্যাচটি হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে তাদের। সেক্ষেত্রে চেলসি ও লিলের মধ্যকার ম্যাচের ফলাফল কি হয় সেটা বিবেচ্য হবে।
×