এয়ারলাইন্সকে আইকাওর হেলথ কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনেক জটিল রোগব্যাধি দুনিয়াব্যাপী ছড়ায় বিমানবন্দরের মাধ্যমে। এক দেশ থেকে যাতে অন্য দেশে এ সব রোগ না ছড়াতে পারে সেজন্য দরকার বিমানবন্দরকেন্দ্রিক বিশেষ ব্যবস্থা। এজন্যই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও)-এর হেলথ কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। সোমবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) ‘কোলাবরেশন এ্যারেঞ্জমেন্ট ফর দ্য প্রিভেনশন এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব পাবলিক হেলথ ইভেন্টস ইন সিভিল এভিয়েশন-এশিয়া প্যাসিফিক (সিএপিএসসিএ-এপি)’-এর ১১তম সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দ্রুতগতিতে এভিয়েশন খাত এগিয়ে যাচ্ছে। এ খাত একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের যাতায়াতের জন্য আকাশপথ বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এ কারণে সংক্রামক ব্যাধি ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতর দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে। যখন ইবোলাসহ অন্যান্য সংক্রামক অসুখ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছিল, তখন ঢাকায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। আইকাও এর হেলথ কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে দেশের এয়ারলাইন্সগুলোকে অনুরোধ জানান তিনি। চার দিনব্যাপী এ সভায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন সংস্থার প্রধান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এয়ারলাইন্স ও এভিয়েশন খাতের সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। সভায় এভিয়েশন খাতের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের টিম লিডার (ডব্লিউএইচও) ডাঃ হাম্মাম ইএল সাক্কা, আইকাও’র রিজওন্যাল অফিসার পরাক্রম দিশনায়েক। প্রথম দিনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় এভিয়েশন মেডিক্যাল এক্সামিনারদের জন্য টেকনিক্যাল সেশন। এরপর এ্যারো মেডিক্যাল এক্সামিনার আপডেট সেশন ও ডিসকাশন, সেখানে বক্তব্য রাখেন আইকারও’র এভিয়েশন মেডিক্যাল সেকশনের প্রধান ডা. আনসা জর্দান। এছাড়া, সভার প্রথম দিনে এ্যালকোহল ও মাদক, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও আলোচনা হয়। সভার দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার পাবলিক হেলথ সিকিউরিটি, ইন ফ্লাইট হেলথ, নিপাহ রেসপন্স, জয়েন্ট এক্সামিনেশন ইভালুয়েশন, ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেজ্যুলেশন বিষয়ে আলোচনা হবে। এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশের সংক্রামক রোগ নিযন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাসির খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এভিয়েশন পাবলিক হেলথ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রব মিয়া, ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ কো অর্ডিনেটর তাশি দর্জি, চীনের সিভিল এভিয়েশন মেডিক্যাল সেন্টারের পাবলিক হেলথ রিসার্চ ডিভিশনের উপ-পরিচালক ডাঃ বিং, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের গ্রুপ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ অনোম জয়সিংহ, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) বাংলাদেশের প্রধান মাইগ্রেশন হেলথ অফিসার ডাঃ আলিশ প্রজাপতি প্রমুখ। তৃতীয় দিন বুধবার রিজিওনাল আপডেট অন হেলথ, এ্যারো মেডিক্যাল এক্সামিনেশন আপডেট, সাইকোলজিক্যাল এ্যাসিসমেন্ট অন সায়েন্সসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার সভার শেষ দিনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন সভায় অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া, বিমানবন্দরে পাবলিক হেলথ বিষয়ক মহড়াও অনুষ্ঠিত হবে।