ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়লো আবাহনী!

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ২৮ আগস্ট ২০১৯

হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়লো আবাহনী!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতিহাস রচনা করতে দরকার ছিল নুন্যতম ড্র। অথচ হেরে গেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড! বুধবার স্বাগতিক উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের কাছে ০-২ গোলে হেরে গেল তারা। ফলে এএফসি কাপের আন্তঃ আঞ্চলিক ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এতে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়লো তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে জিতে ইন্টার জোন প্লে-অফের ফাইনালে উঠেছে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ। গত ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে ৪-৩ গোলে জিতে ছিল আবাহনী। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই আসরের ফাইনাল খেলা টুয়েন্টি ফাইভের প্রতিপক্ষ ভিয়েতনামের হা নুই। কিম টু সাং স্টেডিয়ামে যদি এই ম্যাচে মাত্র ১টি পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারতো, তাহলে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা ও স্মরণীয় এক অধ্যায়ের জন্ম দিতে পারতো আবাহনী। কিন্তু সেই ভাগ্য তদের আর হলো কোথায়? যদিও খেলার প্রথমার্ধে সমানতালে লড়াই করেছিল মারিও লেমোসের শিষ্যরা। কিন্তু বিরতির পর আবাহনীর জালে দু’বার বল পাঠিয়ে তাদের আশার সলিল সমাধি ঘটিয়ে দেয় এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ। কিম ইউ-সং বিরতির পরই দৃশ্যপট বদলে দেন। ম্যাচের তখন ৪৯ মিনিট। গোল করার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের ফাইনাল। কারণ এ্যাওয়ে গোলের হিসেবে এগিয়ে যায় তারা। এএফসি কাপের নকআউট পর্বে ওঠে ইতিহাস গড়া আবাহনী ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ৬৭ মিনিটে তাদের ডিফেন্ডার মামুন মিয়া লাল কার্ড পাওয়াতে মহাসঙ্কটে পড়ে যায় তারা। ঘরের মাঠে এএফসি কাপে না হারা উত্তর কোরিয়ান ক্লাবটি আরও চেপে ধরে ১০ জনের আবাহনীকে। তার ফল আসে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে। এবারও গোলদাতা কিম। আর এই গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের ইন্টার জোন ফাইনাল। কারণ একজন কম নিয়ে খেলা আবাহনীকে তখন করতে হতো দুই গোল। কিন্তু কোরিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে যা করা অসাধ্য ছিল। শেষ পর্যন্ত তাই ঘটে। এই হারে শেষ হয়ে যায় আবাহনীর এএফসি কাপের এই মৌসুম। গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে চার জয়, এক ড্র এবং সমান হারে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিলো আবাহনী। প্রথমবারের মতো ইন্টার-জোন প্লে অফের সেমিফাইনালে ওঠে গড়েছিল ইতিহাস। প্রথম লেগে জিতে আরেকটি ইতিহাসের হাতছানি দিচ্ছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীদের। কিন্তু উত্তর কোরিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে পেরে ওঠেনি। শুক্রবার দেশে ফিরছে আবাহনী। আন্তঃ আঞ্চলিক সেমিফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের পারফরমেন্স ছিল আরও দুর্দান্ত। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ের বিপরীতে তারা ম্যাচ হারে মাত্র একটি এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের সব খেলোয়াড়ই সেনাবাহিনীর সদস্য। এই ক্লাবে খেলেন জাতীয় দলের আট ফুটবলার। বিস্ময়কর ব্যাপার-এই দলে কোন বিদেশি ফুটবলার নেই! আবাহনীতে আছে চার বিদেশি খেলোয়াড়। প্রথম পর্বে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ গোল করেছিলেন স্ট্রাইকার কিম ইউ সং।
×