ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসইসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পায়নি দুদক

প্রকাশিত: ১০:৩১, ২৭ আগস্ট ২০১৯

 বিএসইসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পায়নি দুদক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে অফিসিয়ালি কোন কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য রাজি হননি। উল্লেখ্য, একটি মহলের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্বল মৌলের কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিএসইসির চেয়ারম্যান জড়িতÑ এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অভিযোগ ছিল, ওই কোম্পানিগুলোর শেয়ার বাজারে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আলোচিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক গত ৭ আগস্ট সংস্থার সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে অনুসন্ধানের ব্যাপারে নির্দেশনা থাকলেও বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে যায়। গত ২১ ও ২২ আগস্ট একাধিক গণমাধ্যম এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে তাতে ব্যাপক সোরগোল সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি গত ২২ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির প্রতিবাদ জানায়। বিএসইসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট। দুর্নীতির অভিযোগ ও দুদকের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানা অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে বিএসইসির নেয়া নানা কঠোর সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকতে পারে। এতে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহকে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এতে এক বা একাধিক সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কোন ভিত্তিহীন অভিযোগ করলেই তা প্রমাণিত বলে ধরে নেয়া যায় না। বিএসইসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার বিষয়ে অবশ্য দুদক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি। এর আগে অনুসন্ধানের বিষয়য়টিও গণমাধ্যমের কাছে এড়িয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন।
×