ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জোড়কলম পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদন সাফল্য

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ২৫ আগস্ট ২০১৯

জোড়কলম পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদন সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) “জোড়কলম পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদন সাফল্য” বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে কুনিয়া গ্রামে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিবা রহমান খান এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. আবেদা খাতুন, সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম কামরুজ্জামান ও ড. আব্দুল গাফ্ফার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। ইন্সটিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সবজি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক কৃষান ও কৃষানীসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, টমেটো সারাদেশে খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি কিন্তু এতদিন শুধু শীত মৌসুমে চাষ হতো। বারি’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সবজি বিভাগ গ্রীষ্ম মৌসুমে চাষোপযোগী বেশ কয়েকটি টমেটো জাত যেমন, (বারি হাইব্রিড টমেটো ৪ ও ৮) আবিষ্কার করেছে যা দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। উচ্চ মূল্যের কারনে চাষিরা তা ব্যাপক ভাবে চাষ করছেন। তবে এ সময় টমেটো চাষ করলে ঢলে পড়া রোগের আক্রমণ এর কারণে টমেটোর ফলন ৩০-৮০ % কমে যায়। সবজি বিভাগ এ সমস্যা সমাধানে অতীতে বেগুন গাছের উপর জোড়কলম প্রযুক্তির আবিষ্কার করেছে, যার মাধ্যমে টমেটো গাছকে ঢলেপড়া রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে শতভাগ রক্ষা করা যায় ও প্রত্যাশিত ফলন পাওয়া যায়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা উপস্থিত কৃষকদের সরেজমিন জোড়া কলম পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদন সাফল্যের দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন। অনুষ্ঠানে জোড়কলম পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদন পদ্ধতি দেখে কৃষকরা খুবই উৎসাহিত হন এবং তাদের মাঠে এ প্রযুক্তি গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
×