ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন হবে : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ১৯ আগস্ট ২০১৯

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন হবে  :  আইনমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পরিকল্পনাকারী ও নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের ব্যাপারে সরকার নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের দেড় শতাধিক অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী বলেন, কমিশনটি হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ এটি অত্যন্ত গুরু দায়িত্ব পালন করবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা একসঙ্গে বসে কমিশনের কর্মপরিধি নির্ধারণের পাশাপাশি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি একা এই সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। তবে খুব শিগগিরই আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব এবং আলোচনার পরে যে সিদ্ধান্ত সমষ্টিগতভাবে নেওয়া হবে তা মিডিয়াকে জানানো হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আনিসুল হক বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। নিশ্চয়ই তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মানি লন্ডারিং মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড কার্যকর করা হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারা মুক্তির বিষয়ে দলটি আন্তর্জাতিক মহলের শরণাপন্ন হবে এই তথ্য সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রীকে জানালে তিনি বলেন, বিএনপি আসলে বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, তারা মৌখিকভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি করে। যখনই তারা ক্ষমতায় গেছে তখনই তারা বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ কাজ করেছে। এর বড় উদাহরণ বিএনপি মুজাহিদ ও নিজামীকে মন্ত্রী বানিয়েছে। শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছে। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স করেছে। আজকেও তারা বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলার যে হুমকি দিচ্ছে, সেগুলো তাদের সেই রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা। আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে এতিমের টাকা চুরির দায়ে দুটি আদালত দেশের প্রচলিত আইনে সাজা দিয়েছেন। সরকারের এখানে কিছু করার নেই। ২০০৭ সালে এই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় বহুবার হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে হেরে যাওয়ায় বিচারিক আদালতে তাঁর সাজা হয়েছে এবং সেটা আদালতেই শেষ হবে। আদালত যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই সরকার মেনে নিবে এবং সেটা আদালতেই হবে। অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারের দেড় শতাধিক অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং শিশুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার এবং তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন।
×