ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাশেজ সিরিজ, লর্ডস টেস্ট

আহত স্মিথের অর্ধশতকেও বিপদে অসিরা

প্রকাশিত: ১২:০৪, ১৮ আগস্ট ২০১৯

আহত স্মিথের অর্ধশতকেও বিপদে অসিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরেকটি সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ইংল্যান্ড পেসারদের বিরুদ্ধে একাই দারুণ লড়াই করছিলেন স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু জোফরা আর্চারকে চা বিরতির ৪৫ মিনিট আগে চার হাঁকানোর পরের বলেই আসা বাউন্সারে গলায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে এর আগে স্মিথের একক ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে দু’ শ’ পেরিয়েছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। লর্ডস টেস্টে তার ৮০ রানের সুবাদে অবশ্য বিপদ কাটিয়ে ভাল একটি জায়গায় যাচ্ছিল অসিরা। স্মিথ শেষ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে নামতে না পারলে নতুন নিয়ম অনুসারে বদলি ব্যাটসম্যান নামানোর সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু দ্রুতই আরেকটি উইকেট হারানোর পর আবার সংগ্রাম করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৯২ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৮ উইকেটে ২৩৪ রান তুলে তখনও ইংল্যান্ডের করা ২৫৮ রানের চেয়ে ২৪ রানে পিছিয়ে তারা। প্রথমদিন পুরোপুরি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। তৃতীয়দিন আবার লর্ডসে বৃষ্টি হানা দিলে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস বাধাপ্রাপ্ত হয়। মাত্র ২৪.১ ওভার খেলা হয়। তাতেই অসিদের চেপে ধরেছিল ইংলিশ পেসাররা। ৮০ রানেই ৪ উইকেট হারানোর পর অবশ্য আবার দলের আশা হয়ে টিকে ছিলেন স্মিথ। ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে বৃষ্টিতে আর খেলা না হওয়াতে বরং স্বস্তিই পেয়েছিল অসিরা। চতুর্থদিন আলো ঝলমল পরিবেশে আবার সংগ্রাম শুরু করেন স্মিথ। তার সঙ্গী ম্যাথু ওয়েড অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। তিনি ৬ রান করেই স্টুয়ার্ট ব্রডের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। ইংলিশ পেস তোপে দিশেহারা হয়ে ১০২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়া অসিদের রক্ষার দায়িত্ব নেন স্মিথ ও অধিনায়ক টিম পেইন। এ জুটি ৬০ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি। হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান স্মিথ। ৭০ বলে ২৩ রান করে পেইন সাজঘরে ফেরেন আর্চারের বলে। এরপর প্যাট কামিন্সকে নিয়ে লড়াই শুরু করে শতকের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন স্মিথ। কিন্তু ইনিংসের ৭৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গলায় আঘাত পান তিনি। গতিময় আর্চারের দেয়া বাউন্সার থেকে বাঁচতে পারেননি, গলায় আঘাত পেয়ে ক্রিজেই চিৎ হয়ে পড়ে যান। এরপর ইংলিশ ফিল্ডাররা এবং অসি টিম ডক্টর ছুটে আসলেও শেষ পর্যন্ত তাকে সাজঘরেই ফিরে আসতে হয়। ১৫২ বলে তখন ১১ চারে ৮০ রান ছিল স্মিথের। আগের বলেই তিনি আর্চারকে দারুণ একটি চার হাঁকিয়েছিলেন। স্মিথ ফিরে গেলে কামিন্স আর পিটার সিডল জুটিবদ্ধ হন। কিন্তু সিডল দারুণ সংগ্রাম করলেও শেষ পর্যন্ত ৯ রান করে হার মানের ক্রিস ওকসের পেসের কাছে। তাই শেষ পর্যন্ত আবার ক্রিজে আসেন স্মিথ। এরপর ১৬১ বলে ১৪ চারে ৯২ রানে ওকসের বলে সাজঘরে ফিরে যান। ইংল্যান্ডের তিন পেসার ব্রড, ওকস ৩টি করে এবং আর্চার ২টি উইকেট নিয়েছেন।
×