নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১১ জুলাই ॥ ভোলায় গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গলাকাটা ও ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে শিশুদের অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে অবশেষে মাথাকাটার অপপ্রচারের সঙ্গে যুক্ত ৪ জনকে ভোলার পুলিশ শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তবে অন্য ৩ জনকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের একজন দেশের বাইরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কয়সার সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ৬ জুলাই থেকে একটি চক্র ফেসবুকে পদ্মা সেতুর জন্য এক লাখ মাথা কাটা লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়লে ভোলায় শিশুসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তার পর থেকে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান শুরু করে। এর মধ্যে ভোলা জেলায় ৩ জন ও দুবাইতে ১ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের চর নিউটন এলাকার রাস্তা থেকে বুধবার দুপুরে কৃষক মোঃ আলী হাওলাদারের পুত্র আঃ শহিদ হাওলাদারকে (৩০) পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে আটককৃত যুবক শহিদ অস্বীকার করে এবং তার মোবাইলের ম্যাসেঞ্জার ও ফেসবুক সফটওয়্যার মুছে ফেলে। পরবর্তীতে তা ইনস্টল করা হলে তার ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে কল্লাকাটার গুজব ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায় এবং সব স্বীকার করে। আটককৃত যুবক তার পিতার সঙ্গে কৃষি কাজে সহায়তা করত।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত অন্যরা পালিয়ে গেছে। তাদের এক জন বর্তমানে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। চরফ্যাশন থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন আহমেদ, রাসেলুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: