ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইউএসটিসি শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে চবিতে সভা

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৪ জুলাই ২০১৯

 ইউএসটিসি শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে চবিতে সভা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং (ইউএসটিসি) ক্যাম্পাসে শিক্ষক অধ্যাপক ড. এবিএম মাসুদ মাহমুদকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের শিক্ষকরা। বুধবার অনুষ্ঠিত সভা থেকে অপরাধী ও তাদের মদদদাতাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। ইউএসটিসির অধ্যাপক ড. এবিএম মাসুদ মাহমুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করায় চবি ইংরেজী বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। চবি ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাইনুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সকল শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির নিশ্চয়তা দাবি করেন। তারা বলেন, এই প্রবীণ পন্ডিত শিক্ষাবিদের ওপর আক্রমণ সকল শিক্ষককেই আক্রমণ করার শামিল। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে অপরাধীরা প্রশয় এবং এমন ঘৃণ্য কাজ করার সাহস পায়। তারা গ্রেফতার আসামিসহ সকল অপরাধী ও তাদের মদদদাতাদের বিচারের আওতায় আনার এবং অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির এক শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন দিয়ে অঘটন ঘটানোর প্রচেষ্টায় এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদুল হাসান। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী মাস্টার্স শ্রেণীর ছাত্র। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত মাহমুদুল হাসান স্বীকার করেছে, সে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন ঢেলেছে। এ ঘটনা অবহিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিকে জানিয়ে মাসুদকে ক্যাম্পাস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। মাসুদসহ কয়েক ছাত্র মিলে উক্ত শিক্ষককে অফিস থেকে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসে। তারপর কেরোসিন ঢেলে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধ করে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।
×