ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিপূর্ণ রেল সেতু সংস্কারে বিলম্ব নয়

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ৪ জুলাই ২০১৯

 ঝুঁকিপূর্ণ রেল সেতু  সংস্কারে বিলম্ব নয়

সারাদেশে ৫০০টি রেল সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে বড় সেতু ১০০টি এবং ছোট সেতু ৪০০টি। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো নির্মিত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেতুগুলো ট্রেন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গতি কমিয়ে কোনমতে সেতু পার হচ্ছে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে রেল সেতু নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছিল ইট এবং চুন-সুরকি। এসব সেতু যে এখনও টিকে আছে সেটা একটা আশ্চর্য বিষয়। সরকার রেলের আধুনিকায়নে বড় বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সেতু পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারে আলাদা করে কোন প্রকল্প নেয়া হয়নি। উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী রেল সেতুর অবকাঠামো জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার বর্ষার আগেই দুর্বল রেল সেতু চিহ্নিত করে সংস্কার করতে চাচ্ছে। বর্ষা মৌসুম চলে এসেছে। চুন-সুরকির রেল সেতুর জন্য বৃষ্টি বা বন্যা বিপদই বয়ে আনে। অতীতে বিভিন্ন সময় বৃষ্টি বা বন্যার কারণে রেল সেতু ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি মাথায় রাখলে বর্ষার আগেই দুর্বল সেতুগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া যেত। তবে এখনও সময় আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে দ্রুত দুর্বল রেল সেতুগুলো সংস্কার করতে হবে। কোথায় কোন সেতু দুর্বল সেটা রেল বিভাগের অজানা নয়। কাজেই এ ধরনের সেতু চিহ্নিত করার কাজে বাড়তি সময় লাগার কথা নয়। সেতু সংস্কারের পাশাপাশি পুনর্নির্মাণের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখতে হবে। রেলের গতি বাড়িয়ে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে হলে অনেক সেতুই পুনর্নির্মাণ করতে হবে। চুন-সুরকি আর ইটের প্রযুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সময়ের দাবি। রেল সেতু সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে স্বতন্ত্র কোন প্রকল্প নেয়া যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। বর্তমানে এ্যাডহক ভিত্তিতে সেতু সংস্কার করা হচ্ছে। এটা যথেষ্ট বলে প্রমাণ হয়নি। আমরা কেউই চাই না, ঝুঁকিপূর্ণ রেল সেতুর কারণে আর কোন দুর্ঘটনা ঘটুক। রেল দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষতি ঠেকানো এবং নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবার স্বার্থে রেল সেতুগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে সেটাই প্রত্যাশা। নারায়ণগঞ্জ থেকে
×