ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যামনেস্টির অভিযোগ

নতুন করে যুদ্ধাপরাধ করছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ৩০ মে ২০১৯

নতুন করে যুদ্ধাপরাধ করছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জাতিগত রাখাইন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন করে যুদ্ধাপরাধ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- সংঘটিত করছে এবং নির্যাতন চালাচ্ছে। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বুধবার এ কথা বলেছে। খবর এএফপির। সশস্ত্র বাহিনী সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে হাজার হাজার সৈন্য ও ভারি কামান মোতায়েন করেছে। আরাকান আর্মি (এএ) বিদ্রোহীরা এ রাজ্যের জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধদের জন্য আরও স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে। এ রাজ্যে সামরিক বাহিনী ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী অভিযান চালিয়েছে। জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলেছেন, ওই অভিযানে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে এবং গণহত্যার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। এ্যামনেস্টি বুধবার বলেছে, তাদের কাছে নতুন প্রমাণ রয়েছে যে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এখন জাতিগত রাখাইনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করছে এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এ তালিকায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, স্বেচ্ছাচারী গ্রেফতার, নির্যাতন ও অপহরণ অপরাধ রয়েছে। সংঘাতপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহ ও মাসগুলোতে বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, তারা গত মাসের শেষের দিকে কিয়ার্ডক তান গ্রামে আটক ৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ্যামনেস্টির রিপোর্টটি করা হয়েছে বিভিন্ন জাতিগত গ্রুপের প্রায় ১শ’ জনের সাক্ষাতকার, আলোকচিত্র, ভিডিও ও উপগ্রহ চিত্রের ওপর ভিত্তি করে। রিপোর্টে বলা হয়, ৭ অবৈধ হামলায় ১৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে কয়েক ডজন। বলা হয়েছে, জাতিগত রাখাইনদের বিরুদ্ধে কুখ্যাত পদাতিক ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। এ এলাকায় কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলিম ছিল, তারাও নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক পরিচালক নিকোলাস বিকুয়িলিন বলেন, রাখাইন রাজ্যে এ নতুন অভিযানে প্রমাণ হয় যে, অননুতপ্ত, অসংস্কৃত ও দায়বদ্ধতাহীন একটি সামরিক বাহিনী বেসামরিক লোকদের ভয় দেখাচ্ছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কোন মুখপাত্রকে রিপোর্টের ওপর মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার গ্রুপের নীরবতা পালনের জন্য সরকারের সমালোচনাও করেছে। কর্তৃপক্ষ ওষুধ, খাদ্য ও মানবিক ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
×