ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১৮ মে ২০১৯

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হওয়ার পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন কাজের জন্য বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা। বহুতল ভবনে উদ্ধারকাজে দু’টি ল্যাডার থাকলেও সেগুলো ঘটনাস্থলে নেয়ার মতো পর্যাপ্ত সড়ক নেই। এ অবস্থায় নগরীতে আরও পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ ফায়ার স্টেশন স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। এমনিতেই ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত ৬০ বর্গমাইলের বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে এখানে, পাশাপাশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসাবেও পরিচিত। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আগুনের মতো মানব সৃষ্ট দুর্যোগ। কিন্তু সে দুর্যোগ সামাল দিতে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ পুরোপরি প্রস্তুত নয় বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। ফোরাম ফর প্ল্যান্ড চট্টগ্রামের সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘প্রয়োজনীয় গ্যাস ছড়ানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদি সরবরাহ করতে হবে।’ ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ৫৭৭টি আগুনের ঘটনায় প্রায় ১২ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ১ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে ১৩টি ফায়ার স্টেশনের অনুমোদন থাকলেও দুটি স্টেশন চলছে কোন রকম অবকাঠামো ছাড়া। এখানে পানিবাহী গাড়ি রয়েছে ২১টি। ৫০০-এর বেশি গার্মেন্টসের পাশাপাশি কয়েকশ শিল্প কারখানা থাকলেও আগুন মোকাবেলায় ফোম টেন্ডার রয়েছে মাত্র চারটি। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, এখানে আরও নতুন স্টেশনের প্রয়োজন আছে। একই সঙ্গে নতুন যন্ত্রাদি দেয়া হলে আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়বে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে বিদ্যমান ফায়ার স্টেশনগুলো পূর্ণাঙ্গ নয়। মূলত অধিকাংশ সাব স্টেশন। এ অবস্থায় নগরীতে আরও নতুন ৫টি পূর্ণাঙ্গ ফায়ার স্টেশন করার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
×