ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাসাঞ্জের কারাদণ্ডের সমালোচনায় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৪ মে ২০১৯

 এ্যাসাঞ্জের কারাদণ্ডের  সমালোচনায়  জাতিসংঘের  বিশেষজ্ঞরা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাজ্যের আদালতে বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জের ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ডের সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। ২০১২ সালের জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে গত ১ মে তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিচার বহির্ভূত আটকের বিষয়ে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং কমিটি এ্যাসাঞ্জের কারাদণ্ডকে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের কারাগারে তাকে আটক রাখারও সমালোচনা করেছেন পাঁচ সদস্যের এই ওয়ার্কিং কমিটি। খবর ইয়াহু নিউজের। যৌন হয়রানির দুই অভিযোগে ২০১০ সালের ২০ আগস্ট সুইডেন এ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে একদিনের মাথায় প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সে দেশে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে ২০১০ সালের নবেম্বরে আবারও এ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের আদালতে আত্মসমর্পণের ১০ দিনের মাথায় জামিন লাভ করেন। এ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা আদালতে নতুন পরোয়ানাকে অবৈধ দাবি করলেও ২০১২ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের আদালত একে বৈধ বলে রায় দেয়। রায়ের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য থেকে সুইডেনে বা যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে আশঙ্কায় জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে ২০১২ সালের জুন মাসে এ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে যান এবং রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। জামিন শর্ত ভঙ্গের দায়ে ১ মে তাকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার বিচার বহির্ভূত আটক বিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, এই কারাদণ্ড প্রয়োজনীয়তা ও সামঞ্জস্যতার বিপরীতধর্মী হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। বিবৃতিতে জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগকে ‘তুলনামূলক ছোটখাটো’ অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। গ্রেফতারের পর তাকে রাখা হয়েছে ‘যুক্তরাজ্যের গুয়ানতানামো বে’ নামের কুখ্যাত এক কারাগারে। ৯/১১-এর হামলার পর প্রণীত এক বিতর্কিত সন্ত্রাসী আইনে অভিযুক্তদের বেলমার্শ নামক ওই কারাগারটিতে রাখা হতো। এই কারাগারে এ্যাসাঞ্জকে আটক রাখারও সমালোচনা করা হয় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত ওই ওয়ার্কিং কমিটি। পাঁচ স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত বিচার বহির্ভূত আটক বিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ্যাসাঞ্জ বেলমার্শের মতো কারাগারে হয়েছে যেন তিনি মারাত্মক কোন অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন।
×