স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) খাতায় তিনি এখনও জীবিত। তাই মৃত্যুর ৯ বছর পর ‘সম্মানিত সংসদ সদস্য’ সম্বোধনে বিল পাঠানো হয়েছে তার ঠিকানায়। বিল পেয়ে রীতিমতো থ’ বনে গেছে প্রয়াত সংসদ সদস্যের পরিবার। আর এমনটি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর ক্ষেত্রে। নবম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য প্রয়াত হন ২০১০ সালের ২২ নবেম্বর। আর বিটিসিএল ২০১৮ সালের নবেম্বরেও তার বাসার ঠিকানায় ‘সম্মানিত এমপি-২৫৫’ লিখে বিল পাঠিয়েছে। লুৎফুল হাই সাচ্চু ঢাকার গুলশান-২ নম্বর সার্কেলের ৯০ নম্বর সড়কের ‘মুন্তেছেরা’ নামের একটি এপার্টমেন্টে বসবাস করতেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদ সচিবালয়ের সেবা বিভাগ থেকে তার বাসায় বিটিসিএল’র একটি টেলিফোন সংযোগ দেয়া হয়। যার নম্বর ৯৮৮৪০৮০। ২০১০ সালের নবেম্বরে তিনি প্রয়াত হলে তার পরিবার ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়ে অন্যত্র চলে যান। সম্প্রতি ওই ফ্ল্যাটের ঠিকানায় ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ২৮১ টাকার একটি বকেয়া বিল পাঠিয়েছে বিটিসিএল। বিল কপিতে সম্মানিত সংসদ সদস্য-২৫৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সম্বোধন করা হয়েছে। বকেয়া বিলে বেশির ভাগ মাসেই ৮০ ও ১৬০ টাকা বিল দেখানো হয়। প্রয়াত সংসদ সদস্যের ছোট ভাই আল-মামুন মনোয়ারুল হাই জানান, উনার মৃত্যুর পর আমি নিজে গিয়ে মৃত্যুর সনদপত্র সংসদ সচিবালয়ে জমা দেই। পাশাপাশি তার নামে বরাদ্দ করা বাসাটিও বুঝিয়ে দেয়া হয়। সে সময় তার প্রাপ্ত ২১ দিনের ভাতাও আমাদেরকে সংসদ সচিবালয় থেকে দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বিটিসিএল’র এই বিল পেয়ে আমরা অবাক। কারণ তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর সরকারীভাবে তাকে সংযোগটি দেয়া হয়। মৃত্যুর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটি প্রত্যাহার করে নেবে এমনটাই স্বাভাবিক। কারণ সংসদ সচিবালয় তো জানেন তিনি প্রয়াত।
