ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাদ্দাফির ছেলে বলেই আজ আমার এ অবস্থা

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

  গাদ্দাফির ছেলে বলেই আজ আমার এ অবস্থা

লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে হানিবল গাদ্দাফি স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনালকে বলেছেন, কিভাবে তাকে সিরিয়ায় অপহরণ করার পর থেকে লেবাননের কারাগারে আনা হয়েছে। প্রখ্যাত শিয়া ধর্মীয় নেতা মুসা আল-সদরের অন্তর্ধান সম্পর্কে তিনি বাস্তবে কি জানেন সে সম্পর্কেও ব্যাখা করেছেন। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল। সিরিয়ায় তিনি কিভাবে অপহৃত হন সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে হানিবল বলেন, সিরিয়ার একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০১৫ সালের ছয় ডিসেম্বর আমাকে অপহরণ করা হয়। পরে আমাকে অবৈধভাবে সিরিয়া থেকে লেবাননের বেকা অঞ্চলে পাঠানো হয়। অপহরণকারীরা সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর গাড়ি তল্লাশির বিষয়টি এড়ানোর জন্য সংরক্ষিত পথ অনুসরণ করেছিল। সেখানে এক সপ্তাহ থাকার পর লেবাননে পাঠানো হয়। সেখানে তারা আমাকে শারীরিক ও মানসিক উভয় নির্যাতন করেছিল। তারা জোর করে আমার কাছ থেকে ১৯৭৮ সালে লিবিয়ায় নিখোঁজ হওয়া মুসা আল-সদর ও তার দুই সহযোগী শেখ মুহাম্মদ ইয়াকুব ও সাংবাদিক আব্বাস বাদরেদ্দিন সম্পর্কে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করেছিল। শেখ মুহাম্মদ ইয়াকুবের ছেলের পরিকল্পনায় আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। লেবাননে যাবার পর থেকে আমাকে লেবাননের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তারপর থেকে আমি মুসা আল সদরের মামলার অভিযোগে যে বিচারপতির আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে শুধু তার সঙ্গেই দেখা করতে পেরেছি। ১৯৭৮ সালের ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলাটি করা হয়। ১৯৮২ সালে লেবানিজ জুডিশিয়াল কাউন্সিলে মামলাটি দাখিল করা হয়। ২০০৮ সালে আমার বাবা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তিনি মুসা আল-সদও ও তার সহযোগীদের অপহরণ করেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে আমি কখনোই এই মামলার কোন সন্দেহভাজন অথবা প্রত্যক্ষদর্শী বা অভিযুক্ত ছিলাম না। স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে স্বাক্ষাত হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে কখনোই দেখা হয়নি। তিনি তাদের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন। তারা সিরিয়ায় নিরাপদ নয়। কেউই তাদের খেয়াল রাখবে না। তাদের বাবাকে তাদের দরকার। শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে হানিবল বলেন, তার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তিনি বুকে ব্যথা, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, পিঠে ব্যথা, রোদের অভাবে স্কিন সমস্যা দেখা দিয়েছে। অপহরণের পর যখন তাকে নির্যাতন করা হয়েছে তখন তার নাকের হাড় ভেঙ্গে গেছে। তার হাইমাতোমা রয়েছে। যা আবার দেখা দিয়েছে। আমি জাতিসংঘকে ডাক্তারদের একটি দল পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। যাতে তারা আমার শারীরিক অবস্থা বুঝতে পারেন।
×