ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুতুবদিয়ায় সন্ত্রাসী মুকুল আবারও বেপরোয়া

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 কুতুবদিয়ায় সন্ত্রাসী  মুকুল আবারও  বেপরোয়া

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জলদস্যুসহ বিভিন্ন ডাকাতদলের নেতৃত্বদানকারী সন্ত্রাসী মনোয়ারুল ইসলাম ওরফে মুকুল আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা, বিভিন্ন অপকর্ম ও ডাকাতদলের সদস্যদের পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করেছে। এতে মৎস্যজীবীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ জুন র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে বিপুল অস্ত্রসহ ধরা পড়েছিল ওই মুকুল। ওই সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬২১ রাউন্ড গুলি। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে সে আবারও একই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে চাঁদাবাজি, অস্ত্র আইনেও বিভিন্ন মামলা রয়েছে। পরবর্তীতে সে জামিনে এসে গা ঢাকা দেয়। জানা যায়, ডাকাত সালেহ আহমদ (আত্মসমর্পণকারী) ডাকাত ইসহাক (বর্তমানে জেলে), ডাকাতদলের সর্দার রমিজ (আত্মসমর্পণকারী জেলে), হোসেন (জেলে), দিদার (বন্দুকযুদ্ধে নিহত), মিন্টু (পলাতক), এরফান মাঝি (পলাতক) কালু (পলাতক) ও মানিক (পলাতক) ডাকাতদের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত ওই মুকুলের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়ায় কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। সূত্রে প্রকাশ, মুকুল এক সময় ফ্রিডম পার্টি করত। পরবর্তীতে আরেকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল এলাকার ওই মুকুল বর্তমানে সরকারী দলসহ মানবাধিকার কমিশন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। মানবাধিকার কমিশন কর্মী পরিচয় দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় সে বিভিন্ন কুকর্ম করে বেড়ায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বিষয়টি জেনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কক্সবাজার জেলার সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান দেন যে, মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে মুকুল মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়। জানা গেছে, ওই মুকুল এখনও বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারী প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও বিবৃতি দিয়ে হয়রানিতে যুক্ত। মুকুল কোন রাজনৈতিক দলীয় কর্মী নয় বলে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ থানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করে রেখেছেন। উল্লেখ্য, তার পিতা জাবের আহমেদ চৌধুরী স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন।
×