ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, যুবলীগ অফিস ও দুই মাইক্রো ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

ভোলায় বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, যুবলীগ অফিস ও দুই মাইক্রো ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২৯ নবেম্বর ॥ জেলার লালমোহনে বিএনপির গাড়ির বহরে হামলা ও দুটি মাইক্রোবাসসহ আওয়ামী যুবলীগ অফিসসহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমোহন উপজেলার ডাওরী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভোলা জেলার যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন জানান, ভোলা-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম নয়নের নির্বাচনী কাজে তারা ৪টি মাইক্রোবাস নিয়ে প্রায় ৪০ নেতাকর্মীসহ চরফ্যাশন উপজেলার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ির নাম্বার মিলিয়ে ২টি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করে তাদের মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ইয়ারুর আলম লিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম ফেরদাউস, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান পলাশ, মোস্তফা কামাল, ফাইজুল ইসলাম নকিব, মমিনুল ইসলাম শিবলু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমসহ ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে আহত নেতাকর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে ভোলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেয়। অপরদিকে লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুন পঞ্চায়েত জানান, লালমোহন ডাওরী বাজার যুবলীগ অফিসে একটি বর্ধিত সভা চলাকালে ৪টি মাইক্রোবাস করে বিএনপির সন্ত্রাসী জাকির ও বাহাদুরের নেতৃত্বে ভোলার সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় তাদের ৪ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহতরা হচ্ছেÑ তানভির (৩৪), ফয়েজ মাল (৫২), সেলিম সিকদার (৪৪) ও মোঃ আলী (৩৪)। পরে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করলে তারা পালিয়ে যায় এবং স্থানীয়রা তাদের গাড়ি ভাংচুর করে। আহত যুবলীগ কর্মীদের লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, লালমোহনে নির্বাচনের একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু বিএনপির মেজর হাফিজ পরিকল্পিতভাবে পরিবেশ নষ্ট করার জন্য যুবলীগ অফিসে হামলা চালিয়েছে। তারপরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার জন্য নির্দেশ দেন বলে তিনি জানান।
×