ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকি নিয়ে চলছে এ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

ঝুঁকি নিয়ে চলছে এ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে এলোমেলোভাবে চলেছে এ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং। শুরুতে এ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীসেবা দিলেও কঠোর নজরদারির অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে অল্পদিনে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সেবা মাধ্যমটি। যাত্রীদের বিপদের সুযোগ বুঝে এখন অনেক চালকই চুক্তিতে যাচ্ছেন। রাইড চালকরা চাকরিভিত্তিক না হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করেছে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু এভাবে চুক্তিভিত্তিক চলাচলে চালক-যাত্রী দুইজনেরই নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী ঢাকায় নিত্যদিনের ভোগান্তি যানজট। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় নগরবাসীকে। যানজটে নাকাল নগরবাসীকে সেবা দেয়ার ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং। দ্রুত ও সহজলভ্য এবং চালক-যাত্রী উভয়ে লাভবান হওয়ায় দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এই সেবাটি। সিএনজি অটোরিক্সার এক শ্রেণীর চালকের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ যাত্রীরা। তাই প্রযুক্তিনির্ভর সেবাটি আসায় লুফে নিতে দেরি হয়নি তাদের। অথচ বছর না ঘুরতেই যাত্রীবান্ধব সেবাটিকে অনেকটা কলুষিত করে তুলছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও কয়েকটি কোম্পানি। অবস্থা দেখে মনে হতে পারে সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের দেখানো পথেই হাঁটছেন রাইডাররা। রাস্তায় গণপরিবহনের একটু সঙ্কট দেখা দিলেই আসল চেহারা দেখাচ্ছেন কিছু চালক। যাত্রীরা জানান, বিপদে পরেছি যেতে তো হবে, অনেকটা রাস্তা হেঁটে এসেছি তাই চুক্তিতেই যাচ্ছি। এ্যাপভিত্তিক রাইট শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও এর জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন অনলাইনে চুক্তিতে যাতায়াত করে তখন কোম্পানি বুঝতে পারে। কিন্তু যখন যাত্রী অফ লাইনে যায় তখন আমরা আর বুঝতি পারি না। তাই যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন অফ লাইনে রাইড ব্যবহার না করে। তিনি বলেন, অনলাইনে আমাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত না হয়ে যাতায়াত করা ঝুঁকিপূর্ণ। এতে ছিনতাইয়ের ঝুঁকিতো থাকেই, অনেক সময় প্রাণহানিরও কারণ হতে পারে। বাংলাদেশ প্রোকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাত্রী যদি যুক্তিভিত্তিক যায় তাহলে সে এ্যাপভিত্তিক সিস্টেমে থাকছে না। তখন হয়তো অল্প কিছু টাকার জন্য সে চুক্তিকে যাচ্ছে এতে তার ঝুঁকি থাকে। চালকের ক্ষেত্রেও কিন্তু ঝুঁকি থাকে যেমন যাত্রী বেশে তার মোটরসাইকেলটি ছিনতাই হতে পারে।’ ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং এ যারা আছে তাদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি এবং তাদের কিছু টিপসও দিয়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা এই নগরীকে সবার জন্য নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
×