ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে বিদ্যালয় মাঠে বর্জ্য, অস্বস্তিতে শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

 নীলফামারীতে বিদ্যালয়  মাঠে বর্জ্য, অস্বস্তিতে  শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ একটি শিল্পকারখানা বর্জ্য নীলফামারী সদরের ফুলতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের একপ্রান্তে ফেলা হচ্ছে। ফলে ওই সব বর্জ্যরে দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি অস্বস্তিতে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দারা। শুক্রবার স্থানীয়রা জানায়, উত্তরা ইপিজেডের একটি কারখানা থেকে ট্রাকে এনে মাহবুব নামের একজন ঠিকাদার ওই বর্জ্য ফেলেছে। পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মজিবুল হক উত্তরা ইপিজেডের ভেনচুড়া ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই বর্জ্য ফেলার পর থেকে এলাকায় অসহ্য গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। ওই বিদ্যালয়ের সঙ্গেই বাড়ি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী জেবা আফ্রিয়া বলে, ‘দুর্গন্ধের কারণে ক্লাসে থাকা যায় না। লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারছি না। মাঠে খেলাধুলাও করা যাচ্ছে না। ’ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আলিফ ইসলাম বলে,‘ বিদ্যালয়ের মাঠের পাশেই আমার বাড়ি, বাড়িতেও দুর্গন্ধ আসে, দুর্গন্ধের কারণে বিদ্যালয়েও থাকা যায় না। এতে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার ব্যাঘাত হচ্ছে, বাড়িতেও লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারছি না।’ এ ব্যাপারে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মজিবুল হক বলেন, ‘অভিযোগের পর বর্জ্য ফেলানো বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ফেলানো বর্জ্য অপসারণের কথা ছিল। সেটি না করায় সমস্যা হচ্ছে। সূত্র জানায়, উত্তরা ইপিজেড থেকে বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য অপসারণে ঠিকাদার নিযুক্ত রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই কারখানার বর্জ্য অপসারণ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ওই বর্জ্য আমি ফেলিনি। আমার কাছ থেকে কিনে নিয়ে অন্যজন ফেলেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কুতুব উদ্দিনের ঠিকাদারি লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে মাহবুব নামের একজন ঠিকাদার ওই বর্জ্য সেখানে ফেলেছেন। এ বিষয়ে মাহবুব ঠিকাদার সাংবাদিকদের বলেন আমি কুতুব উদ্দিনের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে সেখান থেকে বর্জ্য অপসারণ করি। লেবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি আমার কাছ থেকে বর্জ্য নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে ডোবা ভরাট করার কথা বলে নিয়েছেন। আমি তাদের বলেছিলাম বর্জ্য ফেলার পর সেখানে মাটি চাপা দিতে। এদিকে উক্ত লেবু মিয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে এটা বুঝতে পারিনি। এ বিষয়ে ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোঃ সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এসব গার্মেন্টস ওয়েস্ট (বর্জ্য) আমরা ফেলি না। আমাদের নিযুক্ত ঠিকাদার অপসারণ করে থাকেন। প্রধান শিক্ষকের ওই পত্রটি পাওয়ার পর আমি বিষয়টি জেনেছি। সেখানে একটি ডোবা বন্ধ করার জন্য আমাদের নিযুক্ত লোকের কাছ থেকে ওই এলাকার লেবু মিয়া বর্জ্য নিয়ে ফেলেছেন। যারা নিয়ে গেছেন দায়িত্ব তাদেরই। এরপরও বিষয়টি নিয়ে আমি লেবু মিয়া এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি।
×