ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রমত্তা সুগন্ধার নদীভাঙ্গনে ঝুঁকিতে বীরশ্রেষ্ঠ সেতু

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৮ আগস্ট ২০১৮

প্রমত্তা সুগন্ধার নদীভাঙ্গনে ঝুঁকিতে বীরশ্রেষ্ঠ সেতু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রমত্তা সুগন্ধা নদীর রাক্ষুসী থাবায় একরাতের মধ্যেই জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ মোশারেফ-রশিদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পানির ট্যাংকিসহ প্রায় সাত’শ বর্গফুট এলাকা ও পাউবোর বাঁধ নদীবক্ষে হারিয়ে গেছে। সোমবার রাতের এ রাক্ষুসী থাবার পর আজ মঙ্গলবার সকালে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্কুল ভবনের একাংশের নিচ থেকে মাটি দেবে গেছে নদীতে। আকস্মিক ভাঙনে স্কুল ভবনের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের শতকোটি টাকার বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) পরেছে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। সেতুর পাদদেশে মহাসড়কের পূর্ব পাশের সংযোগ মুখের গাইড ওয়াল ভেঙ্গে পরেছে নদীতে। সেতুর গার্ডার অঞ্চলেও গ্রাস করেছে ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লক বাঁধের প্রায় ৭০ শতাংশ ইতোমধ্যে চলে গেছে নদীগর্ভে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, সেতুটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাই এটি রক্ষার দায়িত্ব তাদের। সেতু রক্ষার জন্য প্রয়োজন নদী শাসনসহ আলাদা বৃহৎ প্রকল্প। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সওজকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। এজন্য আমাদের দপ্তরে আলাদা কোনো অর্থবরাদ্দ নেই। অপরদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) বরিশাল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, নদীভাঙন প্রতিরোধ করা আমাদের কাজ নয়। তাই ভাঙনরোধের কোন কারিগরি জ্ঞান কিংবা অর্থবরাদ্দ নেই সওজের। আমরা রাস্তাঘাট মেরামত করি। সরকারী সংশ্লিষ্ট দুই প্রতিষ্ঠানের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য আর পরস্পরের ওপর দায় চাঁপানোর ঠেলাঠেলিতে এখন মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পরেছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বপ্নের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) সেতু। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে বরিশাল-৩ আসনের সাংসদ এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ টিপু সুলতান বলেন, ঢাকায় গিয়ে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
×