ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নের ভোগান্তি সহ্য করার অনুরোধ চসিক মেয়রের

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৩১ জুলাই ২০১৮

উন্নয়নের ভোগান্তি সহ্য করার অনুরোধ চসিক মেয়রের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, বিদ্যুতসহ সকল সংস্থা উন্নয়ন কর্মকা- একসঙ্গে চলছে। এসব কাজে রাস্তা না কেটে বিকল্প নেই। ফলে নাগরিকদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, সবই করতে হচ্ছে জনগণের কল্যাণে। এজন্য উন্নয়নের ভোগান্তি সহ্য করার মানসিকতাও তৈরি হওয়া প্রয়োজন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত পরিষদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার আয়োজিত সুধী সমাবেশে চসিক মেয়র কথাগুলো বলেন। মহানগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ সমাবেশে মেয়র তাঁর মেয়াদের প্রথম তিন বছরে বাস্তবায়িত ও চলমান প্রকল্প এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। বক্তব্যে তিনি নাগরিকদের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি উন্নয়নের জন্য সাময়িক ভোগান্তি সহ্য করার মানসিকতা তৈরির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করেছে। সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, টিএন্ডটি, গ্যাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল সংস্থা কার্যক্রম চলছে। আর সব প্রকল্পই বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে সড়কেই। সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প কোন উপায়ও নেই। এজন্য জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বন্দর নগরী। অথচ এ নগরীতে সুয়ারেজ সিস্টেম নেই। এ সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে খোঁড়াখুঁড়ি আরও বেশি হবে। জনগণ যদি সেই ভোগান্তি সহ্য করতে না চায়, তাহলে তো উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে। উন্নয়নের বিষয়টি অনুভবে নিয়ে এ কষ্ট সহ্য করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ভোগান্তি যতটা কম সেই চেষ্টা করা হবে। ভোগান্তি এড়াতে যদি কোন বিকল্প পরামর্শ থাকে তা তুলে ধরে উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে সহযোগিতার অনুরোধও তিনি জানান। চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে আমরা একটি বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণকেও বাস্তবতাটুকু বুঝতে হবে। তিনি বলেন, মেয়াদের তিন বছরে সিটি কর্পোরেশন সড়ক উন্নয়ন, পানি নিষ্কাশনসহ অনেকগুলো কাজ করেছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাকি দুই বছরে আরও প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হবে। সকল প্রকল্পেই সড়কের ব্যবহার হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তবে সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, সেবা সংস্থাগুলোর সবই এক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। একেকটি সংস্থা একেকটি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত। প্রকল্পগুলোও আলাদা এবং বিভিন্ন সময়ের। সে কারণে সমন্বয়ের চেষ্টা করলেও অনেক সময় পারা যায় না। আবার অধিকাংশ প্রকল্পই জাইকাসহ বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার অর্থায়নে। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে টাকা ফেরত চলে যাবে। সে কারণে সকল দিকই খেয়াল রাখতে হয়। তিনি আগামী দুই বছর কষ্ট সহ্য করার অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রামকে গ্রিন ও ক্লিন সিটিতে রূপান্তরের পথে নগরবাসীর সমর্থন কামনা করেন। সুধী সমাবেশের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মোহাম্মদ হাসনী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাহাবউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরোয়ার, সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, প্রকৌশলী মোঃ হারুন প্রমুখ।
×