ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা না জিতলে দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে’

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৯ জুলাই ২০১৮

‘আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা না জিতলে দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে’

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২৮ জুলাই ॥ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন জাতীয় আয় ছিল ৫৩৬ ডলার। আজ নয় বছর পর তা বেড়ে এক হাজার ৭০০ ডলার হয়েছে। ‘আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা না জিতলে দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাহলে আমাদের মাথাপিছু আয় আবার ৫৩৬ ডলারে নেমে যাবে। এজন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। শনিবার বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় জনতা ব্যাংকের মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ জনসভার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খন্দকার মোশাররফ। খন্দকার মোশাররফ বলেন, আদালত খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছে। তাকে (খালেদা) মুক্তি দিতে পারেন একমাত্র রাষ্ট্রপতি। তবে এ জন্য তার (খালেদা) নিজের দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই রাষ্ট্রপতি তার আবেদন গ্রাহ্য করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করুক এটা আপনারা চান কিনা প্রশ্ন করলে উপস্থিত জনতা ‘না’, ‘না’ ধ্বনি দেয়। খন্দকার মোশাররফ বলেন, ১৯৭৩ সালে ফরিদপুর সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার পর ৩৫ বছর আওয়ামী লীগ এ আসনে জিততে পারেনি। তিনি নিজেও দুই দফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি যে উন্নয়ন কাজ ফরিদপুরে করেছেন তা বিগত কোন সময়ে হয়নি। তিনি বলেন, তবে আগামীতে কোন নির্বাচনেই ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে হারবে না আওয়ামী লীগ। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সমর্থন ছাড়া এ উন্নয়ন তার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। এ জন্য আগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী না জিতলে তা হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে নেমকহারামি করা এবং আমরা আমাদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকব। মন্ত্রী প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, তবে আজ যে জনসমাগম হয়েছে তাতে আমি আশাবাদী আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ প্রস্তাব যদি প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দেন তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ধর্ণা দেবেন বলে জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কাওসার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার মোহতেসাম হোসেন ওরফে বাবর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শওকত আলী।
×