ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজদিখানে ছাত্রী ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে

প্রকাশিত: ০৭:০০, ২৭ জুলাই ২০১৮

  সিরাজদিখানে ছাত্রী ধর্ষণের  ভিডিও ফেসবুকে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যানের বিশ্রাম কক্ষে ৮ম শ্রেণীর এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা গ্রামের রিক্সাচালক মুন্না সরদারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক ওই ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং প্লেট বিতরণকারী এবং টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা গ্রামের বাসিন্দা সাজিদ (২৫)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর ওই ধর্ষক কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরে মেয়েটিকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক বার ধর্ষণ করে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান মীর লিয়াকত আলীর বিশ্রাম কক্ষে। ঘটনাটি ঘটে গত ছয়মাস পূর্বে। ওই ইউনিয়নের চেয়রাম্যান মীর লিয়াকত আলী ধামাচাপা দিয়ে রাখলেও বতর্মানে ধর্ষণের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়েছে। ধর্ষিতা জানান, আমি ওই ছেলেকে চিনতাম না। প্রায় ছয় মাস পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আব্দুস সালাম অসুস্থ থাকায় তার আপন ভাগ্নি মলি আক্তার ভারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করত। তখন মলি আক্তার আমাকে প্রায় কম্পিউটার শিক্ষার কথা বলত। তাই আমি মলি আপুর সঙ্গে কম্পিউটার শিক্ষার জন্য তার সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদে যেতাম। কম্পিউটার শিক্ষার সময় ওই ছেলে আমার সঙ্গে নানা দুষ্টামি করত। আমার গায়ে হাত দিলে আমি মলি আপুকে বলতাম, মলি আপু বলত কিছু হবে না। কয়েক দিন পরে মলি আক্তার (আপু) বলেন ওই ছেলেদের খাবার রান্না করে দিতে আমাকে অনেক টাকা দিবে। তিনি আরও বলেন, তোর মা আয়ার কাজ করেন। তুই ওদের খাবার রান্না করে দিলে ওরা তোকে অনেক টাকা দিবে। তোকে ভাল মোবাইল কিনে দিবে। তখন ওই ধর্ষক সাজিদ আমাকে ভাল ভাল কথা বলত এবং আমার সঙ্গে প্রেম করত। প্রায় সময় সাজিদ আমাকে চুমু করত, জড়িয়ে ধরত এবং জড়িয়ে ধরে ছবি তুলত আর এরই মধ্যে একদিন আমার সঙ্গে এসব ঘটনা করে। এসব ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি মলি আপুকে সব বলি। মলি আপু বলেন, আর কারও কাছে যেন না বলি। তারপর থেকে আমি আর কোনদিন ওইখানে যাই নাই। সাজিদ আমাকে ফোন দিত। আমি ওকে বলেছি, আপনে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন, আপনে আমাকে আর কোনদিন ফোন দিবেন না। তারপরে আমি আমার ফোন নাম্বার বন্ধ করে দেই। ধর্ষিতার মা জানান, মলির সহযোগিতায় চেয়ারম্যানের খাস কামরায় আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করেছিল ওই লম্পট সাজিদ। মলি ও চেয়ারম্যান সব জানে। কিন্তু এখন আমার মেয়ের সর্বনাশ হয়ে গেল।
×