ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লিটনের ভাবনায় উন্নয়ন, ফের সুযোগ চাইছেন বুলবুল

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১ জুলাই ২০১৮

লিটনের ভাবনায় উন্নয়ন, ফের সুযোগ চাইছেন বুলবুল

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর বাকি এখনও ১০ দিন। তাই বলে বসে নেই কেউ। প্রধান দুই দলের দুই প্রার্থীই নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মতবিনিময়, কুশল বিনিময়, সেমিনার, সভা, ঈদ পুনর্মিলনী ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতায় ভোট প্রার্থনা করছেন তারা। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন একইভাবে পৃথক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি মনোনীত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও। এসব অনুষ্ঠানে নগর উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন তারা। আনুষ্ঠানিক ভোটের প্রচার না হলেও এসব সভায় কৌশলে ভোট প্রার্থনা করছেন উভয়েই। এ ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী নগরীকে উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে দেয়ার অঙ্গীকার করছেন। আর মহানগর বিএনপি সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল চাইছেন নগর গড়তে আরেকবার সুযোগ। সর্বশেষ শনিবার রাজশাহী নগরীর একটি অভিজাত কনফারেন্স কক্ষে ইমাম ও ওলামাদের ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন লিটন। একইদিন দলীয় অফিসে নেতাকর্মীদের সভায় অংশ নেন বুলবুল। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষকদের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন লিটন। শনিবার ইমাম ও ওলামাদের ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি মেয়র থাকার সময় নগরীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছি। ইমাম-ওলামাদের জন্যে ঈদে শুভেচ্ছা ভাতার ব্যবস্থা করেছি। সে সময় তাদের জন্যে তহবিল গঠনের কাজ শুরু করলেও তা অসম্পন্ন থেকে যায়। আগামীতে ইমাম-ওলামাদের জন্যে স্থায়ী তহবিল গঠন করা হবে। এই তহবিল থেকে তাদের নিয়মিত সম্মানি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি ইমাম ও ওলামাদের জন্য আবাসিক পল্লী গড়ে তোলারও ঘোষণা দেন। এ দিকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু না হলেও দুই প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন দুই প্রধান দলের নেতাকর্মীরা। নগরবাসীর মনেও দোলা দিয়েছে ভোটের হাওয়া। ভোট নিয়ে উদ্দেলিত নগরবাসীও। ভোটের আগে থেকেই তাই দুই প্রার্থীর বিগত দিনেও হিসেব নিকেষও কষছেন তারা। এ ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য লিটনের পক্ষেই রয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, রাজশাহী নগরীতে লিটনের আমলে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। ফলে নগরীতে এখনও সেসব উন্নয়নের ছোঁয়া লেগে আছে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকাকালীন নগরীকে উন্নয়নে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেন লিটন। নগরীর রাস্তাঘাট, নদীর ধার, বিনোদন কেন্দ্র, ফুটপাথ এবং সিটি কর্পোরেশনের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজেও হয় লিটনের আমলে। এ ছাড়া পাবলিক পার্টনারশিপে চারটি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে বিগত পাঁচ বছরে নগরীতে চোখে পড়ার মতো তেমন কোন উন্নয়ন ঘটেনি। তবে এই সময়ের মধ্যে নগরীর আলিফ লাম মিম ভাটা থেকে নগরীর চৌদ্দপাই এলাকা পর্যন্ত একটি বাইপাস রাস্তা নির্মাণ কাজ হলেও সেটি ছিল সাবেক মেয়র লিটনের আমলে নেয়া প্রকল্প। ফলে নতুন করে বড় কোন প্রকল্প হাতে নিতে পারেননি বিএনপি নেতা বুলবুল। এতে গত পাঁচ বছরে প্রায় থমকে যায় রাজশাহীর উন্নয়ন। এমনকি নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোও সংস্কারের অভাবে চরম অব্যবস্থাপনায় ভরে যায়। ময়লার স্তূপে যেন পরিণত হয়ে আছে নগরীর লালন শাহ পার্ক। গরুর জন্য গোয়ালঘর গড়ে উঠেছে সেখানে। নগরীর শহীদ জিয়া শিশু পার্কটির রাইডগুলোও বেশির ভাগ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আবার কেন্দ্রীয় উদ্যানটিতে পশুপাখিরও ঠিকমতো খাবার জোটেনি। নতুন করে কোন সংস্কারও হয়নি। ফলে কমেছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। রাসিকের কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে দুই দফায় নগর ভবনে তালা ঝুলিয়েও দেন। এসব বিষয় নিয়ে ভোটের হিসেব নিকেশ করছেন সাধারণ ভোটাররা। অনেকে চাইছেন, রাজশাহী নগর উন্নয়নে এখন লিটনের বিকল্প নেই। এ জন্য লিটনের উন্নয়নের পাল্লা মিলিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমি মেয়র নির্বাচিত হলে রাজশাহীর পদ্মার চরে রিভার সিটি গড়ে তোলাসহ গোটা নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- দিয়ে ঢেলে সাজানো হবে। উন্নয়ন দিয়েই বদলে দেয়া হবে রাজশাহী নগরীকে। অন্যদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবল দাবি করেন গত পাঁচ বছরের মধ্যে আমাকে মাত্র ২৬ মাস চেয়ারে বসতে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় একের পর এক প্রশাসনিকভাবে হয়রানিসহ কারাগারে কাটাতে হয়েছে। তার পরও সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি। আগামীতে জনগণ আবার সুযোগ দিলে নগরীকে উন্নয়ন দিয়ে ঢেলে সাজানো হবে। জীবন দিয়ে সিটিভোট রক্ষার নির্দেশ মিনুর ॥ আগামী ৩০ জুলাই সিটি নির্বাচনে জীবন দিয়ে হলেও জনগণের ভোট রক্ষা করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। শনিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন মিনু। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিএনপি রাজশাহীতে জয়ী হয়ে এসেছে। আগামী ৩০ জুলাই সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আবারও প্রমাণ করে দিব এই রাজশাহীর মাটি শহীদ জিয়ার স্বপ্ন পূরণের মাটি। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশন বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে এই পর্যন্ত সবচেয়ে অযোগ্য উল্লেখ করে মিনু বলেন তার দ্বারা দেশের কোন নির্বচনই সঠিক হয়নি। গত নির্বাচনেও ভোট কারচুপির মাধ্যমে আমাদের ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে। তাই আমরা আমাদের কর্মীদের নির্দেশ করেছি, এখন আমাদের দুটি পথ। এক হলো আমাদের জীবন দিয়ে হলেও জনগণের ভোট রক্ষা করব, অথবা বীরের বেশে বিজয় নিশ্চিত করে আমাদের প্রার্থীকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে যাব। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করছি বলেও বলেন বিএনপি নেতা মিনু। বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ও নগর সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপত্বিতে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল হক মিলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, ছাত্রদল সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচনে বিএনপির ওপর যে কোন বাধাকে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। ভোটের দিন আমাদের সকল নেতাকর্মী ভোট কেন্দ্র পাহারা দিব। ভোট ডাকাতি যারা করতে আসবে তাদের ধরে পদ্মা নদীতে নিক্ষেপ করা হবে। সভা শেষে আগামী ২ জুলাই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অডিটোরিয়ামে বিএনপির বিভাগীয় কর্মীসভার ঘোষণা দেয়া হয়। কাউন্সিলর পদে এবারও বিতর্কিতরা ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবারও অধিকাংশ ওয়ার্ডেই বিতর্কিতরাই কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েও যারা নগর উন্নয়নে কোন অবদান রাখেননি অথচ তারা এবারও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। উন্নয়নে অবদানের চেয়ে নানা কারণে বিতর্কিতরাও প্রার্থী হয়েছে এবার। তারা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। এসব বিতর্কিতরা নানাভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করারও চেষ্টা করছেন। ফলে মেয়র প্রার্থী নিয়ে বড় দুই দলে এখন পর্যন্ত যতটা না উত্তেজনা রয়েছে, তার চেয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদের নিয়ে। রাসিক নির্বাচনে এবার ৩০টি ওয়ার্ডে ২২২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এদের মধ্যে পুরনোরাও রয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাসিকের বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতপন্থী রয়েছেন ২৩ জন। এদের নামে রয়েছে হত্যা, নাশকতাসহ একাধিক মামলা। এর বাইরে আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সংশ্লিষ্টতা, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ। কারও কারও বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলমান। এবার যারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য এরই মধ্যে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সংশ্লিষ্টতা, যৌন কেলেঙ্কারি, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাসিকের পুরনো কাউন্সিলরদের মধ্যে প্যানেল মেয়র-১ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আযব, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুব সাইদ টুকু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন টুনু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহরাব হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বাক্কার কিনু, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন দিলদার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল আলম মিলু, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ টুটুল, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটো, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুস্তাক হোসেন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরমোহাম্মদ মোল্লা, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান আলী ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মতিহার থানা জামায়াতের আমির আবদুস সামাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতা, হত্যাসহ একাধিক মামলা। এদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু এ দিক দিয়ে রয়েছেন অনেকটায় স্বচ্চ। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছে। তিনি গত ৫ বছরে এলাকার উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। এ দিকে সংরক্ষিত-৯ নারী কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নুরুন্নাহার, সংরক্ষিত-৫ শামসুন্নাহার বেগমের নামেও রয়েছে নাশকতার মামলা। এসব কাউন্সিলররা এবারও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রচারেও নেমেছেন তারা। এসব কাউন্সিলররা দাবি করেন, রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। তারা কোন নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও দাবি করেন নুরুন্নাহারসহ অন্যরা। গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন রাসিক নির্বাচনের জন্য সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭০ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত যেসব কাউন্সিলর প্রার্থী এখন রয়েছেন, তাদের মধ্যেও অধিকাংশই নানা কারণে বিতর্কিত। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম-উল আযিম, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব উদ্দিন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী বিতর্কিত। তাদের মধ্যে আরমান আলীর বিরুদ্ধে মাদক মামলা, মাহতাব আলী বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। হাবিবুর ও পল্টুর বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতার মামলা। তবে এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাউন্সিলর মাহতাব বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কিছু বিতর্কিত সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো এলাকার সাধারণ ভোটাররা জানে। তাই ভোটাররা এবারো আমাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশা রাখি। এ দিকে কাউন্সিলর হওয়ার দৌড়ে নির্বাচনে অংশ নিতে নতুন যারা মনোনয়ন দাখিল করেছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। তাদের একজন তৌহিদুল হক সুমন। সম্প্রতি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে ব্যাপক বিতর্কিত ও বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমন এবার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা এক সময়ের অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি রেজাউন্নবী আল মামুনও এবার প্রার্থী হয়েছেন। নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ তটস্থ থাকে, তারা এবারও কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এরা কাউন্সিলর প্রার্থী হলে নির্বাচনী পরিবেশই বিনষ্ট হবে। সাধারণ ভোটারদের মাঝে নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে।
×