নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৪ জুন॥ ধামইরহাটে বিরল রোগে আক্রান্ত জাহিদুল ইসলামের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আলোকশিখা যেন নিভু নিভু অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। দুই পায়ের বিরল এই রোগে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা করতে পারে না ২২ বছর বয়সী যুবক জাহিদুল ইসলাম। পায়ে সৃষ্টি হচ্ছে গাছের অঙ্কুর। একটু সুস্থতা কামনায় হারিয়েছেন ভিটেমাটি। এখন পরিবারের সকলেই প্রায় বাস্তুহারা। জানা গেছে, উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের চকমহাদেব গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র জাহিদুল ইসলাম বাবার অভাবী সংসারে সহযোগিতার জন্য জীবিকার তাগিদে ফেনী জেলায় ইমারত নির্মাণ শ্রমিক (রাজমিস্ত্রি) হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানে ৩ মাস কাজ করার পর বাড়ি ফিরে আসে জাহিদুল। বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর তার পায়ে ছোট ব্রন জাতীয় কিছু একটা বের হয়। পরে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বাবা আজিজ মিয়া সন্তানের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পরিবারের শেষ সম্বল ৫ শতক জমির ভিটে-মাটি টুকু অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এতে শরীর থেকে রোগ নামিয়ে জাহিদুলের দুই পায়ে এসে স্থায়ীভাবেই যেন ঘাটি গাড়ে। জাহিদুলের পরিবার এখন স্থানীয় ইউপি সদস্য খেলাফত ইসলাম খেলুন সরকারী খাস জমিতে তাদের অস্থায়ী বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম জানান, বাড়ির জমিজমা, গরু-বাছুর সব কিছু উজার করে দিয়ে আমার বাবা-মা আমার জন্য চেষ্টা করেছেন। ১ বোন ও অপর দুই ভাই অন্যত্র শ্রমিকের কাজ করে। আমি টাকার জন্য চিকিৎসা করতে পারছি না। আমি সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চাই, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী যিনি মুক্তামনির চিকিৎসা করিয়েছেন। আমি সেই ‘মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই’ বলে কেঁদে ফেলেন জাহিদুল ইসলাম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান বলেন, দেখে তো অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। তবে এটি মূলত ‘লিমফেটিক অবসট্রাকশন অথবা ফাইলেরিয়াসিস ও স্কিন ইনফেকশন’ হতে পারে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: