বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশালে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং সিলেটে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর
উদ্দিন আহমেদ কামরানকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এছাড়া কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্তের পর সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বাচনে জয়ী হতে গিয়ে যেন দলের বদনাম না হয়। বিএনপির মতো মাগুরা মার্কা ভোট যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। এটা আওয়ামী লীগ নয়, সব দলের জন্যই এটা প্রযোজ্য।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে সে সিদ্ধান্ত সকলকে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সব নেতাকর্মী যে যেখানে আছে, কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কথা বলতে হবে। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় না। সব নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এটাই চায় আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনে হারজিত হবেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলায় দেখতে পাচ্ছেন, যারা জেতার কথা তারা জিতছে না, গোলই দিতে পারে না। এটা রাজনীতিতেও হতে পারে। নির্বাচনগুলোতে হারলেই যে আমাদের সিট চলে যাবে বা ক্ষমতা হারাব সেটা নয়। তেমনি হারলে ইজ্জত চলে যাবে সেটাও না। আমাদের জিততে গিয়ে যেন কোন রকম বদনাম না হয়।
সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিয়ে নির্বাচন পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা এনেছি। আমরা চাই না কোন নির্বাচন মাগুরা মার্কা হোক। ১৯৯৬ সালের ১৫ জুন ফেব্রুয়ারির মতো নির্বাচন হোক। নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি ২০১৪ সারে মানুষ পুড়িয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। ২০১৫ সালে তারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে। আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করে তারা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে গেছে। আমরা চাই না, সেই পরিবেশ আর থাকুক। আমরা বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুলাই এই তিন সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জুলাই কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৮ জুন তিন সিটি ও ২৪ জুন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: