ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে ঘরে ফেরা;###;১ জুন থেকে ট্রেনের আগাম টিকেট

বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে ৩০ মে থেকে

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৭ মে ২০১৮

বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে ৩০ মে থেকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ-উল ফিতর সামনে রেখে সড়কপথে যাতায়াতের জন্য বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ মে থেকে। প্রচ- বৃষ্টিতে সড়কের বেহালদশার বিষয়টি বিবেচনায় এবার একটু আগে থেকেই শুরু হচ্ছে অগ্রিম টিকেট বিক্রি কার্যক্রম। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও সোহাগ পরিবহনের এমডি সোহেল তালুকদার সোহেল বলেন, দূরপাল্লার পরিবহন মালিকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ৩০ মে বিক্রি হবে ৭ জুন যাত্রার টিকেট। যাত্রীদের চাহিদা অনুসারে কাউন্টারে টিকেট অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত বিক্রি চলবে। টিকেট থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ চারদিন বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকার কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে। মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য প্রতিবছর বিভিন্ন রুটে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শুক্রবার রাতে বাস-ট্রাক মালিক সমিতির বৈঠক থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে মহাখালী, সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে অগ্রিম বাসের টিকেট বিক্রি হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে বাসের অগ্রিম টিকেট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যে কোন কোম্পানি চাইলে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করতে পারবে। সাধারণত এই টার্মিনাল থেকে যাত্রীরা তাৎক্ষণিক টিকেট কেটে বিভিন্ন গন্তব্যে যান। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রির বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আমরা শুরু করেছি। অনেক পরিবহন অনলাইনে টিকেট বিক্রি করছে। ফলে টিকেট প্রাপ্তিতে কোন সমস্যা হবে না আশা করা যাচ্ছে। এক জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট ॥ আগামী ১ জুন থেকে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে। ৬ জুন পর্যন্ত টানা ছয়দিন টিকেট বিক্রি হবে। প্রথম দিন ১ জুন বিক্রি হবে ১০ জুনের টিকেট, ২ জুন বিক্রি হবে ১১ জুনের টিকেট, ১২ জুনের টিকেট ৩ জুন, ১৩ জুনের টিকেট ৪ জুন, ১৪ জুনের টিকেট ৫ জুন এবং ১৫ জুনের টিকেট ৬ জুন বিক্রি হবে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে টিকেট বিক্রি চলবে। প্রতি যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকেট ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। অগ্রিম টিকেট বিক্রির জন্য ঢাকা স্টেশনে ২৬ কাউন্টার খোলা রাখা হবে। মহিলাদের জন্য থাকবে পৃথক দুটি কাউন্টার। এদিকে মন্ত্রণালয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ফেরার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ১০ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত। ১৯ জুনের টিকেট বিক্রি হবে ১০ জুন, ২০ জুনের টিকেট ১১ জুন, ২১ জুনের টিকেট ১২ জুন, ২২ জুনের টিকেট ১৩ জুন, ২৩ জুনের টিকেট ১৪ জুন ও ২৪ জুনের টিকেট বিক্রি হবে ১৫ জুন পর্যন্ত। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রিম টিকেট বিক্রি হবে। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, ঈদ উপলক্ষে সর্বমোট ১ হাজার ৪০৫ কোচ (বিদ্যমান-১২২১+সপ আউট-টার্ন-১৮৪) চলাচল করবে। সর্বমোট ২২৯ লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে কন্টেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোন মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করবে না বলেও জানান মন্ত্রী। ১১ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সকল আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন ॥ ঈদ উপলক্ষে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করছে মন্ত্রণালয়। ট্রেনগুলো হলো-দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল : ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর স্পেশাল-১ : চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, চাঁদপুর স্পেশাল-২ : চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, রাজশাহী স্পেশাল : রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, পার্বতীপুর স্পেশাল : পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর, সব স্পেশাল ট্রেন ঈদের পূর্বে ১৩-১৪-১৫ জুন তিনদিন এবং ঈদের পরে ১৮ জুন হতে ২৪ জুন ৭ দিন চলাচল করবে। এছাড়াও শোলাকিয়া স্পেশাল-১ : ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ ভৈরববাজার, শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ঈদের দিন চলাচল করবে।
×