ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএলে পাকিস্তান ক্রিকেটাররা অনিশ্চিত

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১১ মে ২০১৮

বিপিএলে পাকিস্তান ক্রিকেটাররা অনিশ্চিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পথ দেখিয়েছে। সেই পথে হাঁটছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। দেশের চুক্তিবদ্ধ কোন ক্রিকেটার এক মৌসুমে বিদেশী দুই টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলতে পারবেন। এর বেশি লীগে খেলতে পারবেন না। পিসিবিও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাতে করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) পাকিস্তান ক্রিকেটারদের খেলা অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছে। এখন বিশ্বে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররাই বেশি খেলেন। কিন্তু পিসিবির সিদ্ধান্তে বিপিএলে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটাররা অনুপস্থিত থেকে যেতে পারেন। আইপিএল, বিগব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ, ইংল্যান্ডে কাউন্টি টি২০ লীগ, দক্ষিণ আফ্রিকার টি২০ লীগ আছে। সঙ্গে আছে বিপিএলও। এ লীগগুলোর মধ্যে যে কোন দুটি লীগে খেলতে পারবেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। দুইয়ের বেশি লীগে খেলা যাবে না। এখন আইপিএলে তারা খেলতে পারে না। অন্য দুই লীগের মধ্যে ক্যারিবিয়ান লীগ ও বিগব্যাশের দিকেই সবার আকর্ষণ থাকে। এরপর ইংল্যান্ডের টি২০ লীগও আছে। এ লীগগুলো বাদ দিয়ে বিপিএল খেলতেও অনেকের আগ্রহ থাকে। কিন্তু দুটি লীগ খেলতে পারার সিদ্ধান্তে এখন পাকিস্তান ক্রিকেটাররাও ঝামেলায় পড়ে যাবে। নতুন নীতি অনুযায়ী একজন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারকে এক মৌসুমে দু’টি লীগে খেলার অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়া হবে। নীতিতে অবশ্য এটা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে দেশটির ঘরোয়া লীগ পাকিস্তান সুপার লীগ বা পিএসএল এই দুই লীগের তালিকায় পড়বে কিনা। আবার নতুন চালু হওয়া ‘টি-টেন’ লীগ নিয়েও কিছু বলা হয়নি। যদি তাই হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপিএল। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের এক মৌসুমে দু’টি লীগ খেলার অনুমতি মিলবে। চুক্তির বাইরে থাকাদের জন্যও এনওসি পাওয়া কঠিন করে তুলেছে পিসিবি। তাদের জন্য এনওসি পাওয়ার জন্য তিনটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এমনকি অবসরে চলে যাওয়া ক্রিকেটারদের জন্যও এক ধরনের প্রচ্ছন্ন বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে নীতিমালায়। তাদের বেলায় আইসিসির নিয়মের অজুহাত দিয়ে বলা হয়েছে, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী অবসরের পর অন্তত দুই বছর এনওসি নিতে হয়। মূলত খেলোয়াড়দের দেশের বাইরে বিভিন্ন লীগে খেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাডেমির প্রধান মুদাসসর নজর, প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক ও ক্রিকেট অপারেশন্সের পরিচালক হারুন রশিদ।
×