ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লন্ডনে আওয়ামী লীগ না করেও উপকমিটিতে!

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১০ মে ২০১৮

লন্ডনে আওয়ামী লীগ না করেও উপকমিটিতে!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপকমিটিগুলো ইলেকশনের আগে কাজ করার জন্য করা হয়েছিল কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান এ যেন টাকা দিয়ে পদ কেনার কারখানা! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট ভাষায় কয়েকবার বলেছেন প্রবাসে বসবাসরত কেউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে পদ পাবে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশে বসবাসকরীরাই উপ কমিটিতে জায়গা পাবে। কিন্তু তারপরেও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের মাঝে যারা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ কিম্বা অন্য কোন লীগে সাধারণ সদস্য পদেও নাই এমন মানুষগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ উপ-কমিটিতে জায়গা পাওয়ায় সাধারণ কর্মীদের মনে ব্যাপক প্রশ্ন ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত লন্ডন প্রবাসী ৩ জনের উপ-কমিটিতে স্থান পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩ জনের প্রথমজন আইন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটিতে স্থান পাওয়া মোহাম্মাদ মেহেদি হাসান। যিনি পেশায় সলিসিটর। লন্ডনে প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্টের ড্রাইভার হিসেবে সুপরিচিত। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সখ্য, ফ্রিডম পার্টির জামাতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও পরিচিত। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ কিংবা কোন অঙ্গসংগঠনের কোন মিটিং, মিছিলে যাদের কোনদিন দেখা যায়নি এমনকি সদস্যপদ ও নেই। কথিত আছে লন্ডনে বসবাসরত সাংবাদিক কলামিস্টকে দিয়ে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওপরের মহলে তদ্বির করে উপ-কমিটিতে স্থান পান মোহাম্মদ মেহেদি হাসান। দ্বিতীয়জন লন্ডনে অঢেল টাকার মালিক শফিকুল ইসলাম। বর্তমানে ফরেন এফেয়ারস উপ-কমিটিতে সদস্য হয়েছেন। তিনি সেই সাংবাদিক কলামিস্ট-এর স্নেহধন্য। তার আয়েশ, গাড়ি সকল কিছুরই খরচ বহন করেন এই ধনাঢ্য ব্যক্তি। কয়েকমাস আগে সাংবাদিক কলামিস্টকে নিয়ে বাংলাদেশের সোনারগাঁয় টিকেট প্রত্যাশী হয়ে মিটিংও করেছিলেন। এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে মিটিং শেষে লন্ডনে ফিরে আসেন। শফিকও লন্ডনের আওয়ামী লীগ কিংবা শাখা সংগঠনে যুক্ত নন। সত্যি সেলুকাস! শোনা যায় টিকেট নেয়ার জন্য সাংবাদিক কলামিস্টকে ৮০ লক্ষ টাকার চুক্তি করা হয়েছে। তৃতীয় জন লন্ডনে ভাই লীগ করে খ্যাত এম ডি নুরুল লিপু। যিনি ইস্ট লন্ডনের এক সময়ের বিখ্যাত মেমসাহেব রেস্টুরেন্টের শুল্ক জালিয়াতি মামলার অন্যতম আসামি। বাংলাদেশ থেকে আসা সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এবং যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দাওয়াত খাইয়ে ভাইয়ের বদান্যতায় এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটিতে সদস্য! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপকমিটিগুলো নিয়ে যুক্তরাজ্যের নেতা কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ এবং নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জন প্রশ্ন তুলেছিল যারা এ্যাক্টিভলি লন্ডনে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এমন মানুষগুলোকে কেন পদ দেয়া হচ্ছে? উপ-কিমিটিগুলো কি টাকার বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে? -বিজ্ঞপ্তি।
×