ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেয়ের কাস্টডি পেয়ে দারুণ খুশি বাঁধন

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

মেয়ের কাস্টডি পেয়ে দারুণ খুশি বাঁধন

অনলাইন ডেস্ক ॥ একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছেন ছোট পর্দার তারকা বাঁধন। গত বছর ৩ আগস্ট মেয়ের কাস্টডি চেয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক আজ সোমবার সকালে দেওয়া রায়ে বলেছেন, ‘কন্যাশিশুর অভিভাবক হচ্ছেন মা। মায়ের জিম্মায়ই মেয়ে থাকবে। কন্যার সর্বোত্তম মঙ্গলের জন্য মায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ এই রায়ে তিনি আরও বলেন, ‘কন্যাশিশুকে নিয়ে মা দেশের ভেতরে এবং বাইরে যেতে পারবেন, যেহেতু মা-ই কন্যাশিশুর অভিভাবক।’ এই রায়ের পর দারুণ খুশি বাঁধন। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘মেয়ের অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য গত নয় মাস আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। কিন্তু আজ আমি নিশ্চিন্ত। মাননীয় আদালত সাধারণ কাস্টডি নয়, বরং মেয়ের সম্পূর্ণ গার্ডিয়ানশিপ আমাকে দিয়েছেন।’ ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয় বাঁধনের। এরপর গত বছর আগস্ট মাসে বাঁধন অভিযোগ করেন, ‘গত মাসে আমার মেয়ে সায়রাকে নিয়ে যান আমার সাবেক স্বামী। এরপর একরকম জোর করে তাকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। সায়রা এখন কোথায় থাকবে, মা হিসেবে আমার অধিকার পাওয়ার জন্য মামলা করেছি।’ তখন তিনি আরও অভিযোগ করেন, মাশরুর সিদ্দিকী তাঁর মেয়ের পাসপোর্ট আটকে রেখেছেন। আজ আদালত সেই পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যদি বাবা তা ফেরত না দেন, তবে বাদীকে থানায় জিডি করতে বলেছেন এবং নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে আদালত চিঠি ও আদেশ পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানান। সায়রার বয়স সাড়ে ছয় বছর। সানবিমস স্কুলে কেজি ওয়ানে পড়ছে। বাঁধন বলেন, ‘আমি চেয়েছি আমার মেয়ে সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠুক। মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হলেও সে যেন বাবার সান্নিধ্য পায়, আমি সেটাও চেয়েছি। তাই আদালতের কাছে এ ব্যাপারে নির্দেশনা চেয়েছি।’ বাঁধনের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক আজ আরও বলেছেন, ‘বাবা মাসে কেবল দুই দিন মায়ের বাড়িতে গিয়ে মায়ের উপস্থিতিতে মেয়েকে দেখে আসবেন।’ এদিকে বাঁধনের আইনজীবী দিলরুবা শরমিন বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশ এই রায় উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমরা মামলাটি কেবল আইন দিয়ে নয়, মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিচালনা করেছি। আমরা আইন ও মানবিক—দুই দিক থেকেই মামলাটি উপস্থাপন করেছি।’ আজ এই রায়ের সময় আদালতে মাশরুর সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর আইনজীবী ছিলেন। আর কঠিন সময়ে যাঁরা তাঁর পাশে থেকেছেন, সবাইকে আজ ধন্যবাদ জানান বাঁধন।
×