ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদের সংরক্ষিত আসনে অন্তত একজন দলিত নারী রাখুন

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

সংসদের সংরক্ষিত আসনে অন্তত একজন দলিত নারী রাখুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৬৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠী রয়েছে যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। দলিত জনগোষ্ঠী তাদের জন্ম ও পেশাগত পরিচয়ের কারণে সমাজে নানাবিধ বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার। বিশেষ করে দলিত নারীরা বৃহত্তর সমাজে বৈষম্যের পাশাপাশি নিজ নিজ পরিবার ও সমাজে প্রবল পিতৃতান্ত্রিকতার শিকার হয় যা তাদের সমাজের অন্য নারীদের তুলনায় পিছিয়ে রাখে। বাংলাদেশের দলিত নারীদের সমস্যা যথাযথভাবে তুলে ধরতে অন্তত একজন দলিত নারীকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে রাখার দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। সেইসঙ্গে তারা জাতীয় বাজেটে দলিত নারীদের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে দলিত নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সেমিনারে মানবাধিকার কর্মীরা এসব দাবি জানান। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সভাপতি ড. প্রতিমা পাল-মজুমদার, নাগরিক উদ্যোগ ও উপদেষ্টা-(বিডিইআরএম)’র প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বিডিইআরএম’র সাধারণ সম্পাদক বিভূতোষ রায়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দলিত নারী ফেডারেশনের (বিডিডব্লিউএফ) সভাপতি মনি রাণী দাস। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিডব্লিউএফ-এর ৯টি সহযোগী সংস্থা এবং বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের (বিডিইআরএম) নেতৃবৃন্দ। ‘বাংলাদেশের দলিত নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক রাবেয়া রওশন। তিনি দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতিমালা তুলে ধরার পাশাপাশি দলিত জনগোষ্ঠীর বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং তাদের বিশেষ করে দলিত নারীদের উন্নয়নে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদান করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন দলিত জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের দলিত জনগোষ্ঠীর অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ১০-১৫ বছর আগেও কোন অনুষ্ঠানে দলিত নারীদের এতো স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চোখে পড়ত না। কিন্তু বর্তমানে নারীদের এগিয়ে আসার বিষয়, সংগঠিত হওয়ার বিষয় সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
×