ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংরক্ষণের অভাবে বছরে নষ্ট হচ্ছে ছয় লাখ মেট্রিকটন মাছ

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

সংরক্ষণের অভাবে বছরে নষ্ট হচ্ছে ছয় লাখ মেট্রিকটন মাছ

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ মাছ আহরণের পর সঠিক সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সুযোগ না থাকায় বছরে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিকটন মাছ নষ্ট হচ্ছে। টাকার পরিমাণে হিসাব দাঁড়ায় ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা। সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) আয়োজিত সেমিনারে এই তথ্য জানায় দেশের মৎস্যবিজ্ঞানীরা। জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. এম.এ.ম. ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান, সম্মানিত অতিথি কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবির উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে স্বাদু পানির মাছ মৎস্য আহরণের পরবর্তী করণীয় ও প্রক্রিয়াজাত করণের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম। প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, মাছ আহরণের পর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মৎস্যচাষীদের জ্ঞান নেই বললেই চলে। যার ফলে অল্প সময়েই মাছ নষ্ট হয়ে চাষীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় দেশে মাছের উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে মাছের ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছে না চাষীরা। তাই মৎস্যচাষী পর্যায় থেকে আড়তদার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের ভোক্তা পর্যায়ে ভেজালমুক্ত টাটকা মাছ সরবরাহ ও সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিদেশে রফতানি করতে পারলে চাষীদের পাশাপাশি দেশও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ , অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন, ড. মোঃ নুরুল্লাহ, মৎস্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ মিজানুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
×