ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে কৃষক হত্যার দায়ে ১৩ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

গাজীপুরে কৃষক হত্যার দায়ে ১৩ জনের ফাঁসির আদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের কালীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে এক কৃষককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা মামলায় ১৩ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ড. মোঃ ফজলে এলাহী ভুঁইয়া সোমবার দুপুরে ওই রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্তরা হলো- গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরশাদী গ্রামের মৃত তালেব আলীর ছেলে ফালান, একই এলাকার ছোয়াদ আলীর ছেলে কাদির ও ছাদির আলী, নিজাম উদ্দিনের ছেলে কালাম, আফাজ উদ্দিনের ছেলে বাজিত, আজিজ ও ওসমান, খোদে নেওয়াজের ছেলে আঃ ছামাদ, নিজাম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন, মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মানিক, মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আলম এবং একই উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে রুস্তম ও অহিদ আলীর ছেলে ফারুক। এদের মধ্যে রায় ঘোষণাকালে ফালান, আজিজ, ছামাদ, ফারুক, মানিক ও আলম আদালতে অনুপস্থিত (পলাতক) ছিল। গাজীপুর আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমেদ ও কোর্ট ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কৃষক বিল্লাল ওরফে বিলুকে ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় রুস্তম আলী বাড়ি থেকে ডেকে পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরপুর বাজারে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী কাদিরের গাছ থেকে কদু (লাউ) চুরি করেছে এমন অভিযোগে এসময় বিলুর চাকর জাকারিয়াকেও সেখানে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে বিল্লাল ও জাকারিয়ার সঙ্গে কাদির ও সাদিরের বাকবিত-া হয়। ঘটনার সময় মামলার আসামিরা দা’, কুড়াল, ছুরি ও রড নিয়ে হাজির হয়। একপর্যায়ে তারা বিল্লালের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে ও কোপাতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে আহত বিল্লাল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে পার্শ্ববর্তী এক জমির রাস্তায় গিয়ে পড়ে যায়। আসামিরা সেখানে গিয়ে কুড়াল দিয়ে বিল্লালের বুকে এলোপাতাড়ি কোপায় ও রড দিয়ে মারধর করে। এ সময় তারা ছোরা দিয়ে বিল্লালের গলা কেটে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বিল্লাল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে ছাদিরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ছাদির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার পর অন্য ছয় আসামিকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্ত শেষে কালীগঞ্জ থানার এসআই মনির উদ্দিন ১৯৯৭ সালের ১০ মে আদালতে ১৩ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
×