ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসিতে মিয়ানমার নেতাদের বিচার চাইলেন রোহিঙ্গা নারী আইনজীবী

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

আইসিসিতে মিয়ানমার নেতাদের বিচার চাইলেন রোহিঙ্গা নারী আইনজীবী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দেশটির নেতাদের বিচার দাবি করেছেন রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা। তিনি এ সংক্রান্ত বিচারের আয়োজন করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর ওয়েবসাইটের। ২০১৪ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী নারীদের হয়ে কাজ করছেন এই আইনজীবী। তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখানে শুধুমাত্র রোহিঙ্গা হওয়ার কারণে বিভিন্ন বয়সী নারীদের গণধর্ষণ, অত্যাচার ও হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সুলতানাই প্রথম কোন রোহিঙ্গা নারী, যিনি তার জনগোষ্ঠীর দুর্দশার কথা জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদকে জানালেন। মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে সুলতানা বলেন, গবেষণা ও সাক্ষাতকারের বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেছেন যে, মিয়ানমার সরকারের সেনারা রাখাইন রাজ্যের ১৭টি গ্রামের তিনশ’রও বেশি রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ করে। ছয় বছর বয়সী শিশুরাও গণধর্ষণ থেকে রেহাই পায়নি বলেও জানিয়েছেন সুলতানা। তিনি বলেন, প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে রোহিঙ্গা মেয়েদের ধরে এনে বাড়িতে নিয়ে গণধর্ষণ করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কিছু নারীকে আবার জীবন্ত পুড়িয়েও মেরে ফেলা হয়। চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের। পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে সুলতানা বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যেয়ে সেখানকার নারীদের সঙ্গে কথা বলে দেখবেন আপনারা। বাংলাদেশ থেকে ১২ বছরের কম বয়সী মেয়েদের যাতে কাজের লোভ দেখিয়ে বাইরে পাচার করে দেয়া না হয় সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা আরও জোরদারের আহ্বান জানান তিনি।
×