ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী ই-মেল নীতি অনুমোদন করেছে সরকার

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১০ এপ্রিল ২০১৮

সরকারী ই-মেল নীতি অনুমোদন করেছে সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিভিন্ন সরকারী কাজে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ইমেল ব্যবহারের জন্য নতুন একটি নীতিমালা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নীতিমালার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি বিপন্ন আইন; বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন; স্ট্যান্ডার্ড ওজন ও পরিমাপ আইন; আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ আইন এবং সরকারী ইমেল নীতিমালা আইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সরকারী কাজে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ইমেল ব্যবহারের জন্য নতুন একটি নীতিমালা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সরকারী ইমেল নীতিমালা- ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারী অফিসগুলোতে আমরা ব্যক্তিগত ইমেল এ্যাড্রেস ব্যবহার করে বিভিন্ন করেসপনডেন্স করি, সেটা করা যাবে না। সরকারী ডোমেনের অর্থাৎ মড়ানফ এ্যাকাউন্ট থেকে নিজস্ব ইমেল এ্যাড্রেস নিয়ে করেসপনডেন্স করতে হবে।’ ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী কৃষি উপকরণ ও কৃষিপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত মজুদকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যবসায়ী বা সরবরাহকারী কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণ গুদাম, ওয়্যারহাউস থেকে খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তার কাছে বিক্রি করতে অস¦ীকার করতে পারবেন না। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে এক বছরের কারাদ- এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হচ্ছে। অপরাধ একই শাস্তি দুই বা ততোধিকবার করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে। এ জাতীয় বিধান রেখে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ২০১৮ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন ॥ চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এবার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ২১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধাস্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৮ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সাতটি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৬৩টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৩টি। ২০টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। অপরদিকে ২০১৭ সালের একই সময় ১০টি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ১০১টি। ৪৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিল ৫৪টি। বাস্তবায়নের হার ছিল ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ভাল এবং বেশ অগ্রগতি হয়েছে।
×