সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা চায় রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান

সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগী হয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ত্রিদেশীয় শীর্ষ বৈঠকের পর এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশ তিনটির নেতারা। বিবিসি। তিন নেতা বলেন, তারা সিরিয়ায় শান্তি উদ্যোগ ত্বরান্বিত করবেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওই বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ‘সিরিয়ার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, সিরীয় নেতা বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের নিজেদের স্বার্থ বজার রাখার জন্য তারা নিরাপত্তাহীনতায় ইন্ধন যোগাতে চেয়েছিল, কিন্তু কোন সাফল্যই পায়নি তারা।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের শীঘ্রই ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তারা ‘সিরিয়ায় থেকে যাবে’ বলে তিনি বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন রুহানি। কুর্দী এবং আরব মিলিশিয়াদের সম্মিলিত বাহিনী ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’ (এসডিএফ) জোটের সমর্থনে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সেনা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন আছেন। ট্রাম্প গত সপ্তাহে তাদের দ্রুত সরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু উপদেষ্টাদের পরামর্শে ও নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এরই মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সেনা রাখতে রাজি হয়েছেন বলে খবর হয়েছে। রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক সিরিয়ায় একযোগে কাজ করার কথা জানালেও সিরিয়ায় তাদের সামরিক বাহিনী পরস্পরের বিরুদ্ধ পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে। ইরান ও রাশিয়া সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশারকে ব্যাপক সমর্থন দিচ্ছে, অপরদিকে তুরস্ক বাশার বিরোধী তুরস্কপন্থী বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে। সিরিয়ায় কিছু সহিংসতা কমাতে দেশ তিনটি রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করলেও লড়াইয়ের ময়দানে তাদের এই পরস্পর বিরোধিতা রয়েই গেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় জেলা আফরিন থেকে কুর্দী ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের সরিয়ে দিতে সেখানে সরাসরি সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। অপরদিকে ইদলিব ও গাউতা অঞ্চলে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানে সরাসরি সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়ার বিমান শক্তি ও ইরানপন্থী বেসামরিক বাহিনীগুলো। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, আফরিনকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা উচিত বলে এরদোগান ও পুতিনকে বলেছেন রুহানি। রুহানি বলেন, ‘তুরস্কের বাহিনী সিরিয়ার ভূখন্ডগত ঐক্য লঙ্ঘন না করলেই কেবল আফরিনের বর্তমান পরিস্থিতি ভাল হতে পারে। ওই এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ সিরীয় সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা উচিত।’