সংবাদদাতা, মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ৩ এপ্রিল ॥ ৪ এপ্রিল তেলিয়াপাড়া দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মাধবপুর উপজেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে মুক্তিযুদ্ধের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ওই বৈঠকে ১১টি সেক্টর বণ্টন করা হয়। তেলিয়াপাড়া বৈঠকে সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী, (অব) আব্দুর রব এমএনএ লে. কর্নেল সালেহ উদ্দিন মোহাম্মদ রেজা। মেজর কেএম সফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর সাফায়েত জামীল, মেজর সি আর দত্ত, ক্যাপ্টেন মোঃ নাসিম, ক্যাপ্টেন মতিন, ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভূইয়া, লে. সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, লে. হেলাল মুর্শেদ খাঁন, লে. নাসির উদ্দিন, লে. মাহবুব, লে. আনিস, লে. সেলিম, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার ভিসি পা-ে, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা আলী এমএনএ, মানিক চৌধুরী এমএনএ মৌলানা আসাদ আলী এমপিএ, এনামূল হক মোস্তফা শহীদ এমপিএ, মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, দুলাল চৌধুরী, দেওয়ান আশ্রাফ আলী, ছাত্রনেতা কাজী কবির উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী পাঠান, শাহ মোঃ মুসলিম, শফিকুল হোসাইন চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ড. আকবর আলী খান এসডিও, কাজী রকিব উদ্দিন এসডিও, মমতাজুর রহমান সিও, মাহবুবুল হুদা ভূইয়া, আব্দুল ছাত্তার প্রমুখ। তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোটি ৪ এপ্রিল থেকে মুক্তিবাহিনীর সদর দফতর ও পরে ৩ ও ৪নং সেক্টর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: