স্টাফ রিপোর্টার ॥ নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারীর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আর শাহরিন আহমেদের ড্রেসিং করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শাহিনের অস্ত্রোপচার করে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। চিকিৎসকরা জানান, শাহিন আগের চেয়ে ভাল আছেন। শাহরিনে অবস্থা উন্নতির দিকে।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডাঃ হোসাইন ইমাম জানান, শাহিন ব্যাপারীর পুড়ে যাওয়া ৮০ শতাংশ জায়গায় আমরা চামড়া লাগিয়ে দিতে পেরেছি। বাকী যেটুকু থাকবে। তা অনেকটা নিজে থেকে ঠিক হয়ে যাবে। পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত আমরা কাল (সোমবার) নেব। তিনি জানান, শাহিন ও একই দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদের প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার হয় বুধবার। ডাঃ ইমান জানান, আজ সকালে (রবিবার) শাহরিনের প্রথম ড্রেসিং করা হয়েছে। ড্রেসিং করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, শাহরিনও অনেক ডেভেলপড। শাহরিন, শাহিন দুইজনকে নিয়েই আমরা এখন কিছুটা চিন্তামুক্ত। গুরুতর আহত আরেক যাত্রী কবির হোসেনের ব্যাপারে তিনি জানান, গতকালের (শনিবার) তুলনায় আজ (রবিবার) কবির হোসেনের শারীরিক অবস্থা ভাল। তিনি হাত-পা নেড়ে কথা বলতে পারছেন। কবির হোসেনকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও আমরা আমাদের মতো চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে একই বিমান দূঘর্টনায় আহত মেহেদী হাসান, আলীমুন নাহার এ্যানী, সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও সৈয়দ রাশেদ রুবাইয়াত। তারা শঙ্কামুক্ত আছেন। তবে তারা ট্রমা চিকিৎসায় রয়েছেন বলে জানা আসাসিক সার্জন ডাঃ হোসাইন ইমাম জানান।
উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ওই বিমানটিতে চারজন ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৫১ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির ৪ জন ক্রুসহ ২৮ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও চীনের একজন যাত্রী রয়েছেন। আহত ২২ জন আরোহীর মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি। ১০ বাংলাদেশি বেঁচে গেলেও তাদের প্রায় সবার দেহেই আগুনের ক্ষত রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: