ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

কলকাতা কড়চা শোভাবাজারে উৎসব-শোভা

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ২৩ মার্চ ২০১৮

কলকাতা কড়চা শোভাবাজারে উৎসব-শোভা

বসন্ত উৎসবের আন্তরিক আমন্ত্রণ, আর একক কবিতাপাঠের অধিবেশন। আকর্ষণীয় উপলক্ষ বটে। তবু একুশের বইমেলায় নতুন বইয়ের গন্ধে উন্মাতাল থাকা, একুশের সঙ্কলন প্রকাশের মহাব্যস্ততা, সাহিত্যের সাপ্তাহিক লাইভ টক শো আর নানাবিধ কর্মলিপ্ততায় ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দিইনি উদ্যোক্তাদের তাগাদা সত্ত্বেও। ‘সাংবাদিক-ভিসা’ পেতে দেরি হয়, ইমিগ্রেশনেও কিছুটা বাড়তি আলাপন ও সতর্কতার মুখোমুখি হতে হয়- এসব জানা ছিল, তবু দেরিই করে ফেললাম। উৎসব ১১ মার্চ, তাই সময়মতো ভিসা পাব কিনা এমন একটা অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়েও যেতে হয়েছে। সে যাক, আনন্দ পেতে হলে কিছুটা বিপরীত-অভিজ্ঞতা হতে পারে, তা না মেনে উপায় থাকে না। ট্রেনের টিকেট না পাওয়ায় খানিকটা ¤্রয়িমাণ হতে হলো। শেষমেশ বাসেই তবে যেতে হবে! সকাল পৌনে সাতটায় বাসে উঠে মাঝে সীমান্তে বাস বদল করে কলকাতা শহরে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত এগারোটা। সে বিবরণ আর নাই বা লিখি। ১৬ ঘণ্টার যাত্রাশেষেও যে ‘সাম্প্রতিক-ঢাকা’-এর সদস্যরা গান-আবৃত্তির মহড়ায় বসে গেলেন রাত একটায়, সেটিই বড় বিস্ময় হয়ে দেখা দিল আমার চোখে। বিশেষ করে একতেদার আলী ও মোহসেনা ইলোরা ঘুম তাড়িয়ে মধ্যরাতকে সদ্য সন্ধ্যা করে তুললেন। সাংস্কৃতিক দলটির সদস্যদের কমিটমেন্ট দেখে মুগ্ধ হলাম। প্রথম রাতটুকু শিল্পে নিবেদিত সংগঠক-দম্পতি শৈবাল ঘোষ-পিয়ালিদিদের ত্রিতল বাড়িতে থাকা হবে, পরদিন উদ্যোক্তা পাওয়ার ক্রিয়েটিভ মিডিয়া এ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট-এর ঠিক করে দেয়া গেস্ট হাউজে। সকালেই এলেন কত্থক নৃত্যের নির্দেশক সঞ্জয় ভট্টাচার্য, যিনি ইউরোপের নানা দেশে নৃত্য-উৎসবে যোগ দিয়ে থাকেন। রবীন্দ্রনাথের ‘আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি’ গানটি গীত নয়, আবৃত্তি করা হবে উৎসবে। তার সঙ্গে থাকবে যুগল নৃত্য। গানের বদলে কবিতার সঙ্গে নাচ ব্যতিক্রমী বটে, আর মুদ্রা ফোটানোর জন্যও মেলে কম সময়। সঞ্জয় বাবু যুগলকণ্ঠে আবৃত্তি শুনে নিলেন শুরুতে। তারপর নৃত্যমুদ্রা ফোটানোর স্বার্থে দুয়েকটি শব্দের উচ্চারণের সময়দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে নেয়ার পরামর্শ দিলেন। ফিরে গিয়ে সন্ধেবেলা নিয়ে এলেন সহনৃত্যশিল্পীকে। চোখের সামনেই গানের কথা পেয়ে গেল নৃত্যরূপ। রবি-বাণীর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনার প্রতিষ্ঠিত অবয়ব রয়েছে, তাতে নতুনত্ব আনা সহজ নয়। ভাল লেগে গেল এই শিল্পপ্রয়াস। রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দের শহরে কলকাতায় এলে সব সময় শিহরিত হই। যেমন যশোরের কেশবপুরে কপোতাক্ষ নদীতীরে সাগরদাড়ি গ্রামে গেলে মধুসূদনের সঙ্গ পাই মনে মনে। আর কলকাতার মূল সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অলিতে-গলিতে ঢুকে পড়া আমার অভ্যেস। সেখানকার জীবনপ্রবাহে সত্যিকারের প্রাণের সান্নিধ্য পাই। কত বিচিত্র পেশার মানুষ কোন না কোন কাজে ব্যস্ত। কোথাও তেমন কুশ্রিতা দেখি না। আলুপুরির দোকানি হাসিমুখে চিনিয়ে দেন ডালপুরি ভাজার জায়গা; ফলের দোকানি আঙ্গুর মাপার সময়ে বেছে বেছে ভালটাই তোলেন। সব সময়েই মানুষের মমতা পাই, বন্ধুতা লাভ করি। ভাল লাগে। এখানে বাঙালীর সঙ্গে ভুলক্রমে বলি হিন্দী, আর বাংলা যিনি বলতে পারেন না তার সঙ্গে হিন্দীর বদলে বলে ফেলি মাতৃভাষা। কলেজ স্ট্রিটের গেস্ট হাউসে ওঠার আগে শ্যামবাজারে ‘সুরারতি সঙ্গীত আশ্রমে’ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আড্ডায় বসলাম। ব্রততীদির এ গানের স্কুলটি নিচে, তিনি থাকেন একই ভবনের চতুর্থ তলায়। তিনি ছিলেন সুচিত্রা মিত্র, মায়া সেনের সরাসরি ছাত্রী। কথায়-হাসিতে কী সৌন্দর্য। সঞ্জয় মুখার্জি চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। গান আর আবৃত্তি যেন এদের সবারই মজ্জাগত। ‘সাম্প্রতিক-ঢাকা’ চার পাতার রঙিন লিফলেট ছাপিয়ে নিয়ে গেছে। এটি তৈরি করেছেন আমীরুল বাসার বাবু, গুণী আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক। তাতে উৎসবের নিবেদন ‘চেনা ফুলের গন্ধস্তোতে’ বিষয়ে আলোকপাত এবং অংশগ্রহণকারীদের পরিচিতি রয়েছে। কলকাতার বন্ধুরা খুব প্রশংসা করলেন। নিজেরা কেন এমন পুস্তিকা তৈরি করলেন না, তা নিয়ে আক্ষেপ। রাজবাড়ির দরবারে দারুণ উৎসব সুতানুটি হল মূলত শোভাবাজারের রাজবাড়ির দরবার। কলকাতায় ঢাকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গভীর আবেদন জাগাতে সক্ষম, তার আরেকটি প্রমাণ মিলল এই ফাল্গুনে এই বসন্ত উৎসবে। ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ শীর্ষক উৎসবে ‘সাম্প্রতিক-ঢাকা’ সংগঠনটির রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও সঙ্গীতাশ্রয়ী নিবেদন ‘চেনা ফুলের গন্ধস্তোতে’ দর্শক-শ্রোতারা পিনপতন স্তব্ধতার ভেতরে উপভোগ করেন। কবি সুলতানা শাহরিয়া পিউয়ের নেতৃত্বে ‘সাম্প্রতিক-ঢাকা’ দেশের গৌরবকে উর্ধে তুলে ধরতে ভুল করেনি। ফাল্গুন উৎসবখচিত হলেও বাংলাদেশের বসন্ত যে বায়ান্ন ও একাত্তরে রক্তরঞ্জিত হয়েছিল, সে কথা উল্লেখ করি সূচনা-বক্তব্যে। একাত্তরে ফাল্গুনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ যে এতটা বছর পর জাতিসংঘের বিশেষ মর্যাদালাভ করেছে এবং বাংলাদেশ সেই গৌরবময় ইতিহাস উদযাপন করেছে এই ফাল্গুনে- সে কথাও উল্লেখ করতে ভুলি না। পাশাপাশি বায়ান্নোর আটই ফাল্গুন বা একুশে ফেব্রুয়ারি যে সারা পৃথিবীর সকল ভাষাভাষি মানুষের জন্য মাতৃভাষা দিবসের গৌরব অর্জন করেছে, সেটিও গর্বভরে উচ্চারণ করি। একই সঙ্গে কলকাতাবাসীর কৃতজ্ঞতা জানাই একাত্তরে পাকিস্তানী বর্বর আর্মির তাড়া খেয়ে সীমান্ত পেরিয়ে তাদের শহরে আমাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য। আনন্দবাজারের সাংবাদিক অনুপল বিশ্বাসের মারফতেই উৎসবের মূল আয়োজক সঞ্জয় মুখার্জির সঙ্গে সাম্প্রতিক-ঢাকার সখ্য। সে সুবাদে শোভাবাজারের উৎসবের শোভাবর্ধন। ব্রততী ভট্টাচার্য্য দ্বিজেন্দ্রলাল ও অতুল প্রসাদের গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখেন। মহানায়ক উত্তম কুমারের ভাই তরুণ কুমারের ছেলে সৌমিত রায় হেমন্তের গান ‘অলির কথা শুনে’ শুনিয়ে শ্রোতাদের নস্টালজিয়ায় ভোগান। আর এ সময়ের জনপ্রিয় সুকণ্ঠী শ্রেয়সী চৌধুরী প্রথমে নিজের লেখা ও সুরে এবং পরে ‘বসন্ত এসে গ্যাছে’ ও ‘ফাগুনেরও মোহনায়’ গান দু’খানি পরিবেশন করেন। প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী মমতাশংকরের ছাত্রছাত্রীরা নৃত্যোদয় থেকে নৃত্য পরিবেশন করে দর্শকের হৃদয় কাড়ে। বাগুইহাটি নৃত্যাঙ্গন দল থেকে অনুপলদার কন্যা শিঞ্জিনী বিশ্বাসের কোরিওগ্রাফিতে ভানুসিংহের পদাবলি ‘সাজনি সাজনি’ গানের সঙ্গে মনোরম নৃত্য পরিবেশিত হয়। রাতুল গাঙ্গুলী সারাক্ষণ কর্তব্যনিষ্ঠ থাকেন উৎসবম-পে। ফোটোসেশন, গান, আড্ডা ফিরে আসার আগে আবার ব্রততীদিদের গানের স্কুলে আপ্যায়ন ও আড্ডা। সঞ্জয় একবার গান ধরেন তো অন্যবার আবৃত্তি; অভিনয়েও কম যান না। হাসতে হাসতে পেটে খিল লাগার যোগাড়। তিনি আর তাঁর সতীর্থ বন্ধু সুব্রত চক্রবর্তী হলেন উৎসবের মূল চালিকাশক্তি। অপর বন্ধু অসীম রক্ষিতও সাধ্যমতো সহযোগিতা করে চলেন। অসীম বাবু কথায় কথায় ইতিহাস থেকে উদাহরণ দেন, তাই অনেক কিছু জানার সুযোগ ঘটে। সুদর্শনা শ্রেয়সী একটার পর একটা শাড়ি বদলাচ্ছেন আর ফ্যাশন ডিজাইনার পিউ (ক্যারোলাইনা ব্লু) ডিরেকশন দিচ্ছেন ছবি তোলার। যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন, আমরা জানি। কিন্তু তিনি যে আবার গানও করেন, কবিতা লেখেন ও পড়েন, অনুবাদ করেন- একসঙ্গে এতকিছু তো জানা যায় না। ‘চেনা ফুলের গন্ধস্তোতে’ তাঁরই গ্রন্থনা ও নির্দেশনা। রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা পরিবেশনে তিনি দক্ষ। কলকাতার বন্ধুরাও দেখলাম মুগ্ধ, তাঁরা বুঝেই পান না একজন মানুষ এতগুলো কাজ করেন কীভাবে! সেদিন ছিল স্বনামধন্য রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাস। পরিচিত হয়েই অনুরোধ করলাম ক্লাস শুরুর আগে দু’খানা গান শোনাতে। নিরাশ করলেন না গুণী শিল্পী। গাইতে শুরু করলে দেখি তাঁর ছাত্রছাত্রীরা স্মার্টফোন বের করে বসেছেন ভিডিও করার অভিপ্রায়ে। গঙ্গার তীরে নদীতীরে বেড়াতে কার না ভাল লাগে। বিপন্ন, পর্যুদস্ত, দখল-দূষণের শিকার ঢাকার বুড়িগঙ্গায় তবু যেতে চাই। কলকাতা এসে গঙ্গা দর্শনের সুযোগ হাতছাড়া করব কেন! বাসে চড়ে, পায়ে হেঁটে গঙ্গার তীরে পৌঁছুনোর সময় রেল ক্রসিংয়ের প্রতিবন্ধক আচমকা সামনে এসে দাঁড়ায়। দলের অন্যরা এগিয়ে গেছেন, দূর থেকে দেখি তাঁরা ছবি তুলতেও শুরু করে দিয়েছেন। আমার তাড়া নেই। ছুটন্ত ট্রেন দেখতে ভাল লাগে আমার। এই শহরে এসে রাস্তায় গেলেই ইতিউতি চাই, যদি ট্রামের দেখা পাই। ট্রাম খুব একটা চলতে দেখলাম না এবার। রেললাইনের কাছাকাছি দেখেছি সদ্য-সৃজিত প্রতিমার সারি। ঢাকায় দুর্গাপূজা ছাড়া এমনটা চোখে পড়ে না। চৈত্র-সকালের রোদ পোহাচ্ছে যেন তারা। হঠাৎ রেললাইন ঘেঁষে দেখি কাঠের উঁচু টুলের কাঠামোর একদম উঁচুতে আয়েশি ভঙ্গিতে শুয়ে লেজ নাড়াচ্ছে বাদামি বিড়াল। টুলটা যদি বিড়ালের মাপে চার তলা হয়, তবে তার ঠিক নিচতলায় বসে আছে সাদা-কালো ছোপের আরেকটি তাগড়া বিড়াল, অবিকল আমাদের ফ্ল্যাটের গুললুর মতো, যমজ ভাই বলে মেনে নেয়া চলে। যাক অনেকটা সময় পেরিয়ে হেলেদুলে আসে ট্রেন। বাধা উঠে যায়। গঙ্গাতীরে গিয়ে বুঝতে পারি এখানকার হাওয়া একেবারে অন্যরকম। কোথা থেকে আসে এই মনোরম সমীরণ! মন ভাল হয়ে যায়। ফেরার পথে সোজা কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া। কোন্টা রেখে কোন্টায় ঢুকি। নতুন চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে এমন মননশীল বই খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। সিগনেট বুক শপে ঢুকেছিলাম সমর সেনের কাব্য কেনার আশায়। আমার সংগ্রহেরটির ফালিফালি দশা। ঘুরতে ঘুরতে বেলা পড়ে আসে। এখন কফি হাউসে গেলে কি কোল্ড কফির সঙ্গে কিছু খাদ্য মিলবে? থিয়েটার দর্শন বহুগুণে গুণান্বিতা রুমাদি (রুমা চক্রবর্তী) শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাঁর প্রথম আমন্ত্রণটা রক্ষা করা যায়নি সঙ্গীরা ব্যস্ত থাকায়, দ্বিতীয় আমন্ত্রণটাও মিস করলে তিনি নির্ঘাত অভিমান করে পাকা দু’বছর আর ঢাকায় আসবেন না বলে শঙ্কা হয়। তাছাড়া তাঁর আমন্ত্রণ মানে শিল্পদর্শন। নাটকের টিকেট কেটে বসে আছেন নন্দনে। আমাদেরই যেতে কিছুটা দেরি হয়। কুশল শুধোনোর আগে ঘড়ির দিকে তাকান। বলেন, চল চল হাঁটি একটু। আমরা তাঁকে অনুসরণ করি। আসলে তিনি আমাদের নিয়ে যান রাস্তার ওপারে হালদিরামের সুবিশাল দ্বিতল ভোজনালয়ে। কীভাবে জানলেন আমার এই দুর্বলতার কথা! চেটেপুটে- খেয়েদেয়ে দিই ছুট। হলের বাতি নিভে গেছে ততক্ষণে, পর্দা ওঠার ঘণ্টা শুনতে শুনতে হলে ঢুকি। শুরু হয়ে গেল নাটক, দারুণ আইডিয়ার এক টানটান থিয়েটার- ‘শের আফগানের টিনের তলোয়ার।’ পিপলস থিয়েটার ও নান্দীকার- কলকাতার নাট্যজগতের ঐতিহ্যবাহী দুই প্রধান নাট্যদল। দুই দলের দুই মহারথী যথাক্রমে উৎপল দত্ত ও অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁদের দুই বিখ্যাত নাটক টিনের তলোয়ার আর শের আফগানের নাম জুড়েই নতুন এই নাটক রচিত হয়েছে। মঞ্চের দুই প্রধান চরিত্র ওই দুই কালজয়ী অভিনেতা-নাট্যনির্দেশক। প্রয়াণের বহু বছর পরে রঙ্গমঞ্চে মধ্যযামে এই দু’জনের কথোপকথনের ভেতর দিয়ে আত্মদর্শন, থিয়েটারের ইতিহাসের পাশাপাশি একান্ত ব্যক্তিজীবনের ইতিবৃত্ত এবং সমকালীন থিয়েটারের সমালোচনা উঠে এসেছে- সব মিলিয়ে উপভোগ্য এক নাটক। রুমাদি আমাদের ঠিক নাটকটাই দেখতে প্রলুব্ধ করেছেন দেখছি। আহা আরও অন্তত তিনখানা থিয়েটার না দেখে আর তেরোখানা বই না কিনে শেষমেশ ঢাকায় ফিরতে হবে! প্রত্যাবর্তনের ঘণ্টা যে বাজছে...। [email protected]
×