ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্যাপক বাজেট হ্রাস

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্যাপক বাজেট হ্রাস

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) গত সপ্তাহে সম্পন্ন এক বাজেট সমঝোতায় ব্যাপক ব্যয় কমিয়ে দেয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এ ছাঁটের কারণে সরকারের মধ্যে অচলাবস্থার অবসান হয়েছে এবং পার্লামেন্ট সদস্যরা এ শূন্যতা পূরণে অতিরিক্ত অর্থায়নের জন্য চেষ্টা করছেন। ফরেন পলিসি। এ অর্থায়ন ছাঁটের কারণে ১৯৯০ দশকের পর মার্কিন কূটনৈতিক অফিস ও উন্নয়ন কর্মসূচীর জন্য সম্পদের হ্রাস পাবে ৮শ’ ৮০ কোটি ডলার। দফতরে বিতর্কিত পুনর্গঠনে কর্মকর্তাদের মধ্যে মনোবল হ্রাস পাবে এবং একই সঙ্গে বিদেশে কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে হ্রাস পাবে উপলব্ধি বোধ। কংগ্রেস সহযোগীরা বলেছেন, দু’দলের পার্লামেন্ট সদস্যরা যখন অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তখন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই আলোচনায় অনুপস্থিত থাকছেন। পররাষ্ট্র দফতর ও ইউএসএইডয়ের জন্য তহবিল ছাঁটে বর্তমান অর্থবছরে ও ২০১৯ সালের অর্থবছরের কর্মকা- ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সুদূরপ্রসারী বাজেট সমঝোতা নিয়ে গত সপ্তাহে কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয় এবং হোয়াইট হাউস ২০১৮ ও ২০১৯ অর্থবছরের জন্য ব্যয় পর্যায় নির্ধারণ করে সরকার একটা দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা এড়াতে পেরেছে। কিন্তু সমঝোতায় যেখানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অর্থায়ন বৃদ্ধি করা হয়েছে সেখানে ওভারসিস কনটিনজেন্সি অপারেশনস বাজেটে অপ্রতিরক্ষা খাতে অর্থায়ন হ্রাস করা হয়েছে। বাজেটে আগে পররাষ্ট্র দফতর ইউএসএইডের জন্য নির্ধারণ রাখা হয়েছে মোট কাজের এক তৃতীয়াংশ। ফলস্বরূপ, আইনপ্রণেতারা ২০১৮ অর্থবছরে পররাষ্ট্র দফতরের জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন নির্ধারণে সময় পাচ্ছেন মাত্র কয়েক সপ্তাহ এবং তারা প্রস্তাবিত ২০১৯ অর্থবছরের জন্য একই ধরনের ব্যবধানের সম্মুখীন হবেন। ইতোমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার ২০১৯ সালের জন্য এর ফেডারেল বাজেট অনুরোধ উপস্থাপন করবেন এবং হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা পররাষ্ট্র দফতরের অর্থায়ন ছাঁটের ওপর ভাষণ দেবেন কী না তা স্পষ্ট নয়। ২০১৮ অর্থবছরের বাজেট সম্ভাব্য ছাঁটে রবিবার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, মেরিন কোরস ও স্পেশাল অপারেশনস কমান্ডের সাবেক প্রধানসহ ১শ’ ৫১জন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সামরিক কমান্ডাররা একটা সতর্কতা উচ্চারণ করতে পারেন এবং এ ছাঁটে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি ক্রমবর্ধমান হুমকিতে আমেরিকার বৈশ্বিক প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওই সাবেক কর্মকর্তারা কংগ্রেস নেতাদের কাছে এক চিঠিতে লিখেছেন, এ ধরনের উত্তাল সময়ে বিশ্ব নেতৃত্বে আমাদের জাতীয় সামর্থ্য অবশ্য খেলো করে দিতে পারি না আমরা। চিঠিটি প্রকাশ করে মার্কিন গ্লোবাল লিডারশিপ কোয়ালিশন নামে একটি সংস্থা। এ অবসরপ্রাপ্ত তিন ও চার তারকা বিশিষ্ট কর্মকর্তারা। গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদগুলোতে বিভিন্ন শূন্য অবস্থানের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কঠোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাবেক জেনারেল ও এডমিরালরা লিখেছেন যে, কূটনীতি ও পুনর্গঠন সহযোগিতা ইরাক ও সিরিয়ায় বিশেষভাবে গুরুত্ববহন করে রণাঙ্গনে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের পরাজয়ের পর। সিনেটের ফরেন রিলেশন কমিটির শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট সিনেটর নিউজার্সির বব মেনেনডেজ শুক্রবার এক চিঠিতে পররাষ্ট্র দফতর ও ইউএসএইডের অর্থায়ন বর্তমান পর্যায়ে রাখার জন্য বাজেটের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত সহকর্মী এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
×