ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তিনি ম্যারাডোনা...

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

তিনি ম্যারাডোনা...

ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। গোটা বিশ্বে আর্জেন্টিনা নামটা যত না পরিচিত তারচেয়ে অনেক বেশি পরিচিত দেশটির বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক। পায়ে-বলের অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জয় করেছেন গোটা দুনিয়ার অগণিত ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়। জাদুকরী ফুটবলশৈলী তাকে মাঠের মহানায়কে পরিণত করলেও এখনও সরস আলোচনার খোরাক যুগিয়ে যাচ্ছেন তিনি নানা কর্মকা-ের মধ্যে দিয়ে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রেম-রোমাঞ্চ। দুই কন্যা সন্তানের জনক ম্যারাডোনা খেলার পাঠ চুকিয়েছেন প্রায় দুই যুগ। কিন্তু জনপ্রিয়তায় ধস নামেনি বিন্দুমাত্র। যেখানেই ম্যারাডোনা সেখানেই ভক্তদের ভিড় নিত্য ঘটনা। কন্যার ঘরে নাতি-নতকার হয়ে গেলেও প্রেমের মঞ্চে এখনও যেন যৌবনেই রয়ে গেছেন। ইতোমধ্যে হাফ ডজন সুদর্শনা নারী ম্যারাডোনার প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খেয়েছেন। বর্তমানে বাহুবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন কলম্বিয়ান সুন্দরী রোসিও অলিভার সঙ্গে। অলিভাকে অনেকেই ম্যারাডোনার স্ত্রী হিসেবে মনে করলেও আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি এ বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেননি। তবে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন অলিভাকে নিয়ে। ফুটবলের মহারাজ বর্তমানে মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন কলকাতায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কলকাতা ঘারানার সাজ-সজ্জায় বেশ ভালই কাটছে ম্যারাডোনা-অলিভার সময়। এটা তার ব্যক্তিগত সফর হলেও ভারতবাসীর আতিথেয়তার কোন কমতি নেই। বলা যায় কলকাতায় জামাই আদরেই আছেন ফুটবল ঈশ্বর। উল্লেখ্য, ৯ বছর পর রবিবার রাতে আবারও কলকাতার মাটিতে পা রাখেন আর্জেন্টাইন রাজপুত্র। আগেরবার কলকাতায় এসেছিলেন ২০০৮ সালে। এবার তিনদিনের সফরে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরে তাকে এক ঝলক দেখেই দিয়াগো দিয়াগো চিৎকারে বিমানবন্দরের চত্বর প্রকম্পিত করে তোলেন ভক্তরা। উৎফুল্ল ম্যারাডোনা হাত নাড়তে-নাড়তে বের হয়ে আসেন। বিমানবন্দরে কোন কথা না বললেও ম্যারাডোনা এর আগে ফেসবুকে এক বার্তায় লিখেছিলেন, কলকাতার ভক্তরা অসাধারণ। এখানে আগে এসেছি। অনেক স্মৃতি রয়েছে। এটা আমার কাছে বিশেষ সফর। এই শহর, এই দেশ ফুটবল পাগল। এখানে নতুন প্রজন্মের ফুটবলভক্তদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে থাকি। গতকাল সারাদিনই কলকাতায় ম্যারাডোনাকে ঘিরে ছিল প্রচুর অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় তিনি যান শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে। সেখানে নিজের মোমের মূর্তি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে দুপুর পৌনে ২টায় অন্য একটি অনুষ্ঠানে সময় কাটান মিনিট তিরিশেক। সন্ধ্যায় তার গন্তব্য ছিল ফ্যানাটিক স্পোর্টস মিউজিয়াম। এরপর বারাসাতে একটি ফুটবল ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন তিনি। আগেরবার যখন এসেছিলেন, তখন ম্যাচ খেলেননি ম্যারাডোনা। যুবভারতীতে তার সম্মানে আয়োজিত একটি ম্যাচে দর্শক ছিলেন তিনি। রাতে তার সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অফ ফেম দেয়া হয় ম্যারাডোনাকে।
×