
এ্যাডভোকেট আনিসুল হক
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের এক সুতাও বাইরে সরকার যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, এখন বিএনপির দাবি হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে হবে, তাহলে উনারা ভোটে আসবে। এই সংসদে দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্ববধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা দিয়েছে। উচ্চ আদালতের এই রায়ের এক সুতাও বাইরে সরকার যাবে না। কারণ বর্তমান সরকার আইনে বিশ্বাস করে। আইনের শাসনে বিশ্বাস করে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দুজন সংসদ সদস্যের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বার বার বলছে তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। তারা কী পাকিস্তানে থাকে যে সেখান থেকে ডেকে আনতে হবে? তারা তো বাংলাদেশে থাকে। বাংলাদেশে হবে নির্বাচন। উনারা নির্বাচন করতে চাইলেই নির্বাচন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্লেইং ফিল্ড দরকার সেটা করা হবে। তার এর জন্য পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন। সেটা করা হয়েছে।
চলতি অধিবেশনকে বাজেট অধিবেশন না বলে পদ্মা অধিবেশন নামকরণের রুমিন ফারহানার বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পদ্মা সেতু স্বাধীনতার পর দেশের সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ অবকাঠামো। তাই আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কী উনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তো তা করব না।
বিএনপি এমপিদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা নাকি এখানে (সংসদে) খালেদা জিয়াকে বকাবকি করি। আমরা নাকি পদ্মা সেতু নিয়ে বেশি বেশি কথা বলছি। এটা নাকি ছিল সংসদের কাজ। পদ্মা সেতু অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দেয়ার পরে যদি কোন ঐতিহাসিক তৎপর্যপূর্ণ স্থাপনা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না কী নিয়ে কথা বলব?
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এখানকার আসনে বসে বলছেন নির্বাচন নাকি হয় না! তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে উনি সংসদে গেলেন কিভাবে? এর জবাব উনি দেবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভোট কিভাবে হয়েছে তা আমরা দেখেছি। ওই সময় কারও ভোট কেন্দ্রে যাওয়া লাগত না। ভোট হয়ে যেত। আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন তাদের আমলে (বিএনপি) ছিল। মাগুরার ভোটের কথাও সবাই জানে। ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে বিএনপি কী করেছে। এগুলি কী উনারা ভুলে গেছেন?