ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এলিটদের সাহায্য চান স্ট্রিক

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

এলিটদের সাহায্য চান স্ট্রিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হিথ স্ট্রিক। জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেটের রঙিন সময়ের তারকা। মাঝে দেশটি এতটাই নাজুক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল যে স্বেচ্ছায় নিজেদের টেস্ট থেকে সরিয়ে রেখেছিল। সেই স্ট্রিক এখন জন্মভূমির প্রধান কোচ। বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আরেক সাবেক তারকা তাতেন্ডা তাইবু। কাউন্টি ছেড়ে ব্যাট হাতেই ফিরেছেন ব্রেন্ডন টেইলর। টেস্ট ক্রিকেটে ভাল করতে এলিট সদস্যদের সাহায্য চান স্ট্রিক, ‘এটা সত্যিই কঠিন এক পরিস্থিতি, আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই সিরিজের আগে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আমাদের ছিল। সেটি না হওয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। ক্রিকেটের এলিট দেশগুলোর কাছ থেকে সাহায্য চাই।’ বলেন তিনি। ঘরের মটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে চারদিনেই হেরে গেছে জিম্বাবুইয়ে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে খেলার আগে এই ধরনের একটি সিরিজ খেলতে পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো। দেশের মাটিতে ঘরোয়া লোগান কাপে আমরা খেলে থাকি। কিন্তু সেটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের নয়। এক সময় আমরা যখন নিয়মিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এলিট লেভেলে ক্রিকেট খেলেছি তখন আমাদের ফলাফলও ছিল সন্তোষজনক। আশা করছি ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলো আমাদের এই ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।’ নিজেদের উন্নতির জন্য আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি। স্ট্রিক বলেন, ‘আমরা মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এতে করে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে দলের শক্তিমত্তা বিচার করা যেত। আগামী ছয় মাসে আমাদের মূল লক্ষ্যই থাকবে ওয়ানডে ক্রিকেটের ওপর। আমাদের বিপক্ষে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে। সে কারণেই আশা করছি আবারও আমরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে নিজেদের উন্নতিতে মনোযোগী হতে পারব।’ এ বছর জিম্বাবুইয়ে মাত্র ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে সাতটি ছিল আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় জিম্বাবুইয়ের প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যেই ২০১৭ সালে ৩৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এর মধ্যে ছিল নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফর এবং ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ। তবে জিম্বাবুইয়ের জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে আগামী ছয় মাসে তারা বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে তারা আশাবাদী। এছাড়াও ওয়ানডে ক্রিকেটেও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে। মার্চে জিম্বাবুইয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। ২০১৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের টিকেট পেতে ওই বাছাইপর্ব স্ট্রিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
×