এলো শরৎ ঐ
আ. ফ. ম. মোদাচ্ছের আলী
সাদা কালো মেঘের ভেলা
আকাশজুড়ে নিত্য খেলা
শিউলি ঝরা ভোর,
শুভ্র কাশের দোল দোলানো
হিমেল হাওয়া মন ভোলানো
খুলছে আলোর দোর।
আসছে শীতের বার্তা নিয়ে
এলো শরৎ ঐ
শিউলিগুলো নাও কুড়িয়ে
খোকা-খুকু কই।
** শরৎ এসে
জুলফিকার আলী
শরৎ এসে রাঙিয়ে দিল
ছোট খুকির মন,
তার ছোঁয়াতে রঙিন সাজে
সাজল ফুলও বন।
শিউলী ফুলের গন্ধ ভাসে
হাওয়ায় হাওয়ায় রোজ,
বৃষ্টির শেষে বাঁশবনে যে
বকের মিলে খোঁজ!
গাছে গাছে তাল পাকে তো
খাই সে তালের বড়া,
শরৎ এসে লিখে দিল
কাশফুলের ছড়া।
** পুজোর ঢাক
পঞ্চানন মল্লিক
ঢাক কুড়্ কুড়্ ঢাকের বাদ্য
বাজে পুজো খোলায়,
গভীর রাতে ঢাকের ছন্দে
মনো-প্রাণো ভোলায়।
চামড়া দিয়ে ছাওয়া দু’মুখ
মাঝে কাঠের খোল,
কাঠি দিয়ে বাড়ি দিলে
বাজে মধুর বোল।
ঢাকের তালে জমছে পুজো
বসছে পুজোর মেলা,
বাজনা শুনে প্যান্ডেলে যাই
কাটাই সারা বেলা।
** ঘুড়ি
অভিজিত বড়ুয়া বিভু
বিকেল বেলা
খুশির মেলা
পড়া নাই ছুটি,
বন্ধুর সাথে
লাটাই হাতে
ঘুড়ি উড়াতে জুটি।
উড়ে উড়ে
ঘুড়ি দূরে
নীলাকাশে হারায়,
হঠাৎ দেখি
ওমা একি
লাটাই সুতা ছাড়াই!
** খোকন সোনা
সোহেল রানা
খোকন সোনা খোকন সোনা
আমার সোনা পিচ্চি
আর কেঁদো না লক্ষ্মীসোনা
তোমায় কোলে নিচ্ছি।
খোকন সোনা খোকন সোনা
আমার সোনা বাবা
আদর মাখা কোলটা এমন
কোথায় খুঁজে পাবা?
খোকন সোনা খোকন সোনা
আমার সোনামণি
কাঁদলে তোমায় রাখবো কোলে
রবি থেকে শনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: