ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক ॥ স্মারক বক্তৃতায় ড. আতিউর

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৫ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক ॥ স্মারক বক্তৃতায় ড. আতিউর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সমগ্র জাতির নেতা এবং তিনি দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। জাতিকে সচেতন ও জাগ্রত করেছিলেন, ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সমার্থক। তাঁর একক নেতৃত্বেই বাঙালী জাতি পাকিস্তানের শাসন শোষণের জিঞ্জির ভেঙ্গে স্বাধীনতার রক্ত পতাকা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন তিন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত জাতির জনকের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সকালে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। ইউজিসি অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। স্মারক বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান। আরও ছিলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. এম শাহ নওয়াজ আলি, সচিব ড. মোঃ খালেদ প্রমুখ। ড. আতিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধুকে এক অবিসংবাদিত নেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সমগ্র জাতির নেতা এবং তিনি দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু একজন সৎ, দক্ষ এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক এবং তিনিই প্রথম দেশের নামকরণ করেন বাংলাদেশ। জাতির জনকের জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক অবস্থান বরাবরই সাধারণ মানুষ তথা গরিব-দুঃখীদের পক্ষে ছিল। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর রাজনৈতিক ব্রত থেকে তিনি কখনও বিচ্যুত হননি। একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চের মুখোমুখি করা হলেও তিনি কখনও আপোষ করেননি। তাঁর একক নেতৃত্বেই বাঙালী জাতি পাকিস্তানের শাসন শোষণের জিঞ্জির ভেঙ্গে স্বাধীনতার রক্ত পতাকা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আলোচনা এদিকে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে সচেতন ও জাগ্রত করেছিলেন, ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছতে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শোষণ-নিপীড়নমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. অশোক কুমার বিশ^াস এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডর চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। ঢাকা কলেজে জাতির পিতাকে নিয়ে আলোচনা শিক্ষামন্ত্রী ঢাকা কলেজ অডিটরিয়ামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জম হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান এবং কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমদ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ^মানের মেধার অধিকারী। তিনি তাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
×