মুক্তিপণ দাবি ॥ ইমামের খোঁজ তিন দিনেও মেলেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ২৭ মে ॥ চকবাজার জামে মসজিদের (কেন্দ্রীয় মসজিদ) খতিব ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মুশতাতুন্নবী, তার গাড়িচালক মাসুদ এবং তার সহকারী ছাত্র খায়রুল ইসলামসহ অপহৃত তিন ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ওই টাকা লেনদেন এবং তা প্রশাসনকে না জানাতে হুমকি দেয়া হয়েছে। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন নিখোঁজ তিন ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার লালমাই এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনজন। তিনজনের অপহরণের বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানায় পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। মাওলানা মুফতি মুশতাকুন্নবী লক্ষ্মীপুর চকবাজার জামে মসজিদের (কেন্দ্রীয় মসজিদ) খতিব ও কুমিল্লা বিশ্বরোডের মাদ্রাসা-ই ইসলামিয়া দারুল উলুমের মোহতামিম হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের নিবাসী এবং টুমচর সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের (চকবাজার জামে মসজিদের সাবেক খতিব) ছেলে। এ বিষয়ে নিখোঁজ মুশতাকুন্নবীর ভাই মাওলানা আশরাফ আলী ও এমদাদ হোসেন শরীফ জানান, বুধবার রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ওয়াজ মাহফিল শেষে মুশতাকুন্নবী ও তার সহযোগী ছাত্র খায়রুল ইসলাম এবং গাড়িচালক মাসুদসহ তিনজন প্রাইভেটকারযোগে (চট্ট মেট্রো-গ-১১-২০৭৮) কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মুশতাকুন্নবীর শেষ কথা হয়েছিল। তখন তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই এলাকায় ছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইলসহ অন্যদের মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কোন সন্ধান না পেয়ে বিকেলে নিখোঁজ মুশতাকুন্নবীর ঘনিষ্ঠজন শফিকুল ইসলাম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় জিডি করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কুমিল্লা শহরতলীর চম্পকনগর এলাকার এক মাদ্রাসায় নিখোঁজদের সন্ধান দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ওখানকার আলেমগণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা মুস্তফা মাহমুদী, ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সুলতান আহমাদ জাফরী, মাওলানা মাহমুদুল হাছান জেহাদী, হাফেজ মাওলানা নুরুল হক সিরাজী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।