ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জাপুরে শাশুড়িকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখে পুত্রবধূ ও তার দুই ভাই

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মির্জাপুরে শাশুড়িকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখে পুত্রবধূ ও তার দুই ভাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১১ ফেব্রুয়ারি ॥ মির্জাপুরে শাশুড়ি রহিমা বেগম খুনের ঘটনায় আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন রহিমার পুত্রবধূর বড় ভাই রোকন (২০)। শনিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান মুন্সী জানান। শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর ছাতিহাটি বাজার থেকে পুলিশ রোকনকে গ্রেফতার করে। রোকন বাসাইলের তিরঞ্চ গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। দুই বছর আগে বিধবা রহিমা বেগমের ছেলে ওয়াসিমের সঙ্গে রোকনের বোন কোকিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি রহিমা বেগম কোকিলার ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কোকিলা শাশুড়ি রহিমা বেগমকে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত ১২ জানুয়ারি বাড়িতে অন্যরা না থাকার সুযোগে কোকিলা মোবাইল ফোনে তার ভাই রোকনকে শ্বশুরবাড়িতে আসতে বলেন। রোকন তার বড় ভাই রোজবেলকে নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বোনের বাড়িতে আসেন। রাত ১১টার দিকে দুই ভাই ও বোন মিলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে রহিমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে লাশ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখে বলে পুলিশ জানায়। তদন্ত কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান মুন্সী বলেন, জবানবন্দী শেষে রোকনকে টাঙ্গাইল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×