ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুই ম্যানচেস্টারের দারুণ জয়

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দুই ম্যানচেস্টারের দারুণ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে দারুণ জয় পেয়েছে দুই ম্যানচেস্টার। রবিবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ গোলে হারিয়েছে সোয়ানসি সিটিকে। সিটির হয়ে আবারও মাঠ মাতিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ব্রাজিলিয়ান তারকা একাই করেছেন দুই গোল। আরেক ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দারুণ এই জয়ের ম্যাচে গোল করে অসাধারণ রেকর্ড গড়েছেন জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ। বেশি বয়সে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড এখন সুইডিশ সুপারস্টারের। সুখকর জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। ২৪ ম্যাচ শেষে সিটির ভা-ারে জমা ৪৯ পয়েন্ট। ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে ম্যানইউ। ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি প্রথম ও ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহ্যাম হটস্পার দ্বিতীয় স্থানে। প্রিমিয়ার লীগে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই নিজের জাত চিনিয়ে চলেছেন জেসুস। নিজের প্রথম ম্যাচে এক গোল নিজে করার পাশাপাশি সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছিলেন দু’টি। পরশু সোয়ানসি সিটির বিরুদ্ধে একাই করলেন দুই গোল। চলতি মৌসুমে পালমেইরাস থেকে জেসুসকে ২৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে কিনে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লীগে নতুন করে ঠিকানা গড়ার পর থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। সোয়ানসির বিরুদ্ধে ১১ মিনিটে দারুণ গোল করে ম্যানসিটি সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান জেসুস। কিন্তু ম্যাচের বয়স যখন ৮১ মিনিট তখন সিগুর্ডসনের গোলে সমতায় ফেরে সোয়ানসি সিটি। এ সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি সমতাবস্থায় শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু সেটা হতে দেননি জেসুস। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে (৯০+২ মিনিটে) অসাধারণ এক গোল করে দলকে রোমাঞ্চকর এক জয় উপহার দেন জেসুস। প্রিমিয়ার লীগের তিন ম্যাচে তার গোলও সমান তিনটি। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে তৃতীয় ব্রাজিলিয়ান হিসেবে ম্যাচের শুরু থেকেই খেলে প্রথম দুই ম্যাচেই গোল করার রেকর্ড এখন জেসুসের। তার আগের দুইজনও খেলেছেন এই সিটির জার্সিতে। জিওভান্নি আর রবিনহো। সোয়ানসি সিটির বিরুদ্ধে নিজেদের মাঠে লীগে ম্যানসিটির এটা টানা ১১তম জয়। ম্যাচ শেষে জেসুসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ পেপ গার্ডিওলা। তিনি বলেন, জেসুস শক্তিশালী, দ্রুতগতির এবং সত্যিই অসাধারণ মুভমেন্ট তার। সত্যি বলছি, সিটিতে তার আগমনটা দারুণ হয়েছে। জেসুসকে পেয়ে আমরা প্রকৃতপক্ষেই আনন্দিত। জেসুসের এই দুর্দান্ত সাফল্যের কারণে সিটির আরেক তারকা সার্জিও এ্যাগুয়েরোর ভাগ্যে দেখা দিয়েছে অমানিশা! শেষ দুই ম্যাচে তো আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে বাইরে রেখেই দল সাজান ক্লাবটির কোচ গার্ডিওলা। তার জায়গায় মাঠে নেমে দুই ম্যাচেই মাঠ মাতিয়েছেন জেসুস। ব্রাজিলিয়ান তারকার অপ্রতিরোধ্য ছন্দের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আর্জেন্টাইন তারকার ভাগ্য। শুধু মূল একাদশে অনিশ্চিত হয়ে পড়েননি এ্যাগুয়েরো, ম্যানচেস্টার সিটিতে থাকতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে! এ্যাগুয়েরো নিজেও বুঝতে পারছেন বিষয়টি। তবে সিটির হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ভাগ্যের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন নিজের ভবিষ্যত। এ্যাগুয়েরো বলেন, সামনের তিন মাস আমি দলকে সহায়তা করতে চাই। তারপর তারাই সিদ্ধান্ত নেবে যে আমার এখানে জায়গা আছে কি নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমি সিটি ছাড়তে চাই না। এখানে সুখেই আছি। ইব্রাহিমোভিচ ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় নতুন করে ঠিকানা গড়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে। বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেও চোখ ধাঁধানো সাফল্য পাচ্ছেন। একের পর এক গোল করে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য এক উচ্চতায়। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার সিটির বিরুদ্ধেও নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে ১৫ গোলের রেকর্ড এখন ইব্রার দখলে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলার দিন ইব্রার বয়স হয় ৩৫ বছর ১২৫ দিন। লিচেস্টারের বিরুদ্ধে ৪৪ মিনিটে দলের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম গোল করে এই রেকর্ডে নাম লেখান সাবেক সুইডিশ স্ট্রাইকার। এর দুই মিনিট আগে ম্যানইউর হয়ে প্রথম গোল করেন হেনরিখ মাখাটারিয়ান। জুয়াত মাতা শেষ গোলটি করেন ৪৯ মিনিটে।
×