ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘পল্লী বিদ্যুত শহরে কেন?’

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

‘পল্লী বিদ্যুত শহরে কেন?’

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ পদ্মার এপারে ২১ জেলায় পল্লী বিদ্যুতের শহরমুখী আগ্রাসনের অভিযোগ করে ওয়েস্ট পাওয়ার জোন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বললেন, ‘পল্লী বিদ্যুত শহরে কেন? তাদের তো গ্রামে-গঞ্জে বিদ্যুত সেবা পৌঁছানোর কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে তারা শহরমুখী হওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুত বিতরণে পল্লী বিদ্যুতের চেয়ে ওজোপাডিকো এগিয়ে থাকলেও অশুভ উদ্দেশে এ চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে তাদের দাবি করেছেন। এমন দাবি করে বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুত আগ্রাসন প্রতিরোধে ওজোপাডিকো কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ যশোর সার্কেল কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। কমিটির আহ্বায়ক শাহানুর হোসেন লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, ওজোপাডিকোর বর্তমান গ্রাহক সাড়ে ৯ লাখ। এ অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সিস্টেম লস এখন সিঙ্গেল ডিজিটে ((৯.৯০) নেমে এসেছে। যা ২০০৭ সালে ছিল ১৯.৫০। ২০০৮ সালে ওজোপাডিকোর অধীনে বিদ্যুত সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছিল ৪৭ শতাংশ। ২০১৬ সাল শেষে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ শতাংশে। বিপরীতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরে ২২ শতাংশ মানুষের বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। ৭৯টি পল্লী বিদ্যুত সমিতির মাধ্যমে আরইবি সেবা দিলেও সন্তোষজনক নয়। এছাড়া ৭টি পল্লী বিদ্যুত সমিতি ছাড়া অন্যসব অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অথচ পল্লী বিদ্যুত শহরমুখী আগ্রাসন করছে এবং ওজোপাডিকোর এলাকায় লাইন স্থাপন ও মেরামত করছে। শুধু তাই নয়, ৮ জানুয়ারি বিদ্যুত বিভাগের একটি সভায়ও পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে আগ্রাসন কেন্দ্রিক প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ খবরে ওজোপাডিকোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পল্লী বিদ্যুত আগ্রাসন প্রতিরোধে ওজোপাডিকো কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ যশোর সার্কেল কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ ফারুক, ওজোপাডিকো বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ যশোর শাখার সভাপতি শহিদুল আলম, ওজোপাডিকো ডিপ্রকৌস’র সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম, মাসুদুর রহমান, শেখ আলাউদ্দিন, শেখ নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
×